Advertisement
০২ ডিসেম্বর ২০২৩
Mirzapur

মদ গিলে ‘বাঁদরামো’ থেকে মহিলাদের দেখে অশ্লীল ইশারা! মির্জাপুরের সেই কালিয়ার যাবজ্জীবন

এক তান্ত্রিকের কাছে ছিল কালিয়া। তাকে মাংস ও মদ খাওয়াতেন তান্ত্রিক। এক সময় তান্ত্রিক উধাও হন। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াতে শুরু করে কালিয়া। সেই থেকে মির্জাপুরে কালিয়া-তাণ্ডবের শুরু।

কালিয়ার তাণ্ডবে অতিষ্ঠ ছিল মির্জাপুর।

কালিয়ার তাণ্ডবে অতিষ্ঠ ছিল মির্জাপুর। — ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
মির্জাপুর শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪৪
Share: Save:

মহিলাদের দেখলেই অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি। মদ খেয়ে মাতলামি। আমিশ খাবার ছাড়া মুখে রোচে না। কালিয়ার ‘বাঁদরামো’তে অস্থির উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের বাসিন্দারা। তবে কালিয়া কোনও মানুষ নয়, পূর্ণবয়স্ক একটি বাঁদর। তার বাঁদরামো থামাতে কালিয়াকে চিড়িয়াখানার খাঁচাবন্দি করা হয়। হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন মির্জাপুরবাসী। কানপুর চিড়িয়াখানার খাঁচায় সেই কালিয়ার আজ পাঁচ বছর পূর্ণ হল।

মির্জাপুরের কালিয়ার আসল লক্ষ্য ছিল মহিলা ও শিশুরা। মির্জাপুর শহরে অন্তত ২৫০ জন মহিলা এবং শিশুর উপর হামলা চালিয়েছে সে। মহিলা দেখলেই অপ্রকৃতিস্থের মতো আচরণ করত বাঁদরটি। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির পর ছুটে গিয়ে আঁচড়-কামড়। আর ছিল ভরপুর মদের নেশা। এ হেন কালিয়াকে নিয়ে যখন মির্জাপুরবাসী অতিষ্ঠ, তখন পথে নামে বন দফতর। কোনও মতে কালিয়াকে খাঁচাবন্দি করে চালান করা হয় কানপুর চিড়িয়াখানায়। তার পর থেকে চিড়িয়াখানার খাঁচাই ঠিকানা দুর্দান্ত বাঁদরটির।

পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু কালিয়ার স্বভাবে কোনও পরিবর্তন দেখছেন না চিড়িয়াখানার কর্তারা। এখনও মহিলা দেখলেই শুরু হয়ে যায় কালিয়ার ‘বাঁদরামো’। তাই চিড়িয়াখানায় অস্থায়ী ভিত্তিতে রাখা কয়েকটি দুষ্টু বাঁদরকে ‘সিধে’ করে বাইরে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কালিয়াকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন তাঁরা। আমৃত্যু তাকে কাটাতে হবে খাঁচার ভিতরেই।

জানা গিয়েছে, এক তান্ত্রিকের কাছে ছিল কালিয়া। সেই তান্ত্রিক তাকে মাংস ও মদ খাওয়াতেন। তাতেই এমন স্বভাব তৈরি হয় কালিয়ার। তার পর একটা সময় কালিয়াকে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তান্ত্রিকের খোঁজ মেলেনি। সেই থেকে মির্জাপুরে কালিয়া তাণ্ডবের শুরু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE