কবিতা এবং তাঁর প্রেমিক বিনয় শর্মাকে, পুলিশ শনিবার গ্রেফতার করে। ফাইল চিত্র।
স্বামীকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি, গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রেমিককেও। পুলিশের দাবি, দু’জনে পরিকল্পনা করেই ঘটিয়েছেন এই হত্যাকাণ্ড। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনা।
অভিযুক্ত মহিলার নাম কবিতা। তিনি গাজিয়াবাদের একটি হাসপাতালের নার্স। গত বুধবার রাতে স্বামী মহেশের মৃতদেহ নিয়ে বছর তিরিশের কবিতা সেই হাসপাতালেই গিয়ে উপস্থিত হন। দাবি করেন, তাঁর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত যাতে না হয়, তার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপর তিনি চাপ তৈরি করেন বলে অভিযোগ। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দেন পুলিশে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, মহেশকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। শনিবার কবিতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের মোবাইল আটক করে পরীক্ষার পর পুলিশ বুঝতে পারে, পরিকল্পনা করেই এই খুন। প্রেমিক বিনয় শর্মার সঙ্গে এই পরিকল্পনা করেছিলেন কবিতা। এর পর ধরা হয় বিনয়কে। বিনয় কবিতারই সমবয়সি।
মহেশ-কবিতার দুই সন্তান। বড়টি মেয়ে। ১৩ বছরের এই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলার পরই খুনের সন্দেহ জোরাল হয়েছিল পুলিশের। ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, সে তার মাকে দেখেছিল বাবার গলা টিপে ধরতে। প্রশ্ন করতে কবিতা তাকে জানান, মহেশের গলায় গুটকা আটকে গিয়েছিল এবং তিনি সেটা বার করছিলেন। কবিতা শেষ পর্যন্ত খুনের কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশের জেরায় কবিতা জানিয়েছেন, তাঁর এবং বিনয়ের মধ্যে ৪ বছরের সম্পর্ক। এই সম্পর্কের কথা কিছু দিন আগে তাঁর স্বামী জানতে পেরে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। কবিতার দাবি, মহেশ প্রতি দিন মত্ত অবস্থায় এসে তাঁকে মারধর করতেন। তাঁর আরও দাবি, বুধবার রাতে তুমুল অশান্তির মধ্যেই তিনি স্বামীর মুখে বালিশ চেপে ধরেন। শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান মহেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy