— প্রতীকী ছবি।
স্কুল ফেরতা ক্লাস সিক্স হোক বা বাজার করে ফেরা মধ্য চল্লিশ— ফুচকাওয়ালার সামনে ভিড় করে দাঁড়ানোর ছবিটা খুব চেনা। সে কলকাতা হোক বা মফস্সল। কিন্তু এই চেনা স্বাদের ফুচকাতেও যদি ভেজাল মেশে! ভেজাল অর্থাত্ বাথরুম পরিষ্কার করার কোনও তরল? শুনতে অবাক লাগলেও এই ঘটনাই ঘটেছে গুজরাতের অহমেদাবাদে। গত শনিবার ফুচকাতে বাথরুম পরিষ্কার করার তরল মেশানোর অভিযোগে লাল দরওয়াজা এলাকার এক ফুচকাওয়ালাকে ছ’মাসের জেলের নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুন, লোকলজ্জার ভয়ে সদ্যোজাতকে ফেলে পালাতে গেল ১৪ বছরের ধর্ষিতা মা
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৯-এ। ফুচকায় ভেজাল মেশানোর অভিযোগে ওই ফুচকাওয়ালা চেতন নানজি মারভাদির বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করে আহমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশেন। তার আগে থেকেই লাল দরওয়াজা এলাকার বিভিন্ন বাসিন্দাদের থেকে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ লাগাতার অভিযোগ পাচ্ছিলেন। বাসিন্দাদের দাবি ছিল, ফুচকার জলে বিশেষ কিছু মিশিয়ে দেন চেতন। অভিযোগ পাওয়ার পর ওই জল ফুড টেস্টিং ল্যাবোরেটরিতে পাঠায় কর্পোরেশন। তাদের রিপোর্টে দেখা যায় ফুচকার জলে মেশানো রয়েছে বাথরুম পরিষ্কার করার অক্সালিক অ্যাসিড। তার পরই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়। চেতন ফুচকা বিক্রির পর অবশিষ্ট জল রাস্তায় ফেলে নোংরাও করতেন বলে অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন, দু’মাসে ১১ জনের মৃত্যু, নগ্ন হয়ে বারান্দাতেই ঘুরছেন আবাসিকেরা!
সাত বছর মামলা চলার পর গত শনিবার চেতনের সাজা ঘোষণা করে আদালত। এই সাত বছরে বারবার আদালতে চেতন নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণও নেই বলে দাবি ছিল তাঁর। কিন্তু আইনজীবি মনোজ খান্ডার আদালতে জানান, চেতন যেটা করেছে সেটা অপরাধ। অনেক মানুষ এর সঙ্গে জড়িত ছিল। সবচেয়ে বড় কথা গোটা বিষয়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy