সম্প্রতি কেরলের বাসিন্দা ইয়াসির ৩ কোটি টাকার প্যাকেজ পেয়েছেন এক বহুজাতিক সংস্থায়। ২০১৮-তে তিনি লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বি.টেক. নিয়ে স্নাতক পাশ পরেই এমন অভাবনীয় সাফল্যের স্বাদ পেলেন তিনি। জানালেন, এমন সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে এলপিইউ।
ছাত্র হিসাবে প্রথম থেকেই ইয়াসির ছিলেন মেধাবী। ভালবাসতেন প্রযুক্তিকে। পড়াশোনাও করেন পছন্দের বিষয় কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে। ক্যাম্পাসে থাকাকালীনই তিনি বিভিন্ন হ্যাকাথন থেকে প্রযুক্তিগত ইভেন্টে নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছিলেন। ঝুলিতে ছিল একের পর এক খেতাব।
এই প্রসঙ্গে ইয়াসির জানালেন, “যখন আমি এলপিইউতে ছিলাম তখন আমি এআই, মেশিন লার্নিংয়ের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বও করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অনুষদরা আমায় সঠিক পথ দেখিয়েছেন। প্রতি মুহূর্তে আমায় প্রস্তুত হতে সাহায্য করেছেন। আমি আজ আনন্দিত। কারণ আমি শুধুমাত্র আমার বাবা-মাকে নয়, জার্মানিতে কাজ করার এত বিশাল সুযোগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতকে গর্বিত করতে পেরেছি।”
শুধু ইয়াসিরই নন, এলপিইউ-তে পড়াশোনার পরে এমনই আকর্ষণীয় চাকরি পেয়েছেন হাজার হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাঁরা অনেকেই ১ কোটি বা তার বেশি প্যাকেজে কাজ করছেন গুগল, অ্যাপল, মাইক্রোসফট, মার্সিডিজ সহ সারা বিশ্বের অন্যান্য ফরচুন ৫০০ কোম্পানিগুলিতে।
চলতি বছরেই এলপিইউ-র আরও এক বি.টেক. স্নাতক, হরে কৃষ্ণ মাহাতো ৬৪ লক্ষ টাকার বার্ষিক বেতনে গুগল-এর বেঙ্গালুরু অফিসে যোগদান করেছেন। এই সাফল্য নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সাফল্যের সেই কথা বলতে এলপিইউ সম্পর্কে মাহাতো বললেন-
ইয়াসির, হরে কৃষ্ণ এঁদের সফলতা প্রমাণ করে যে কী ভাবে এলপিইউ ভারতের একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়ত সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই এই ধরনের অসাধারণ প্লেসমেন্ট রেকর্ডগুলি তৈরি হয়েছে।
চলতি বছরে এলপিইউ-র প্লেসমেন্ট রেকর্ড সর্বোচ্চ। এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক ছাত্র অর্জুন, সরাসরি ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে বাৎসরিক ৬৩ লক্ষ টাকার চাকরি পেয়েছেন। ফ্রেশার হিসেবে এই বিপুল বেতনের চাকরি সত্যিই অভাবনীয়। এ বিষয়ে অর্জুন জানালেন,
উল্লেখিত নামগুলি ছাড়াও এলপিইউ-র ২০২১-২২ ব্যাচের ৪৩১ জন শিক্ষার্থী বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি মূল্যের বেতনের চাকরি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, নিয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থাগুলি ১০ লাখ পর্যন্ত ডিফারেনশিয়াল প্যাকেজে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়োগ করেছে। নিয়োগকারী শীর্ষ সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে কগনিজেন্ট, (যারা এলপিইউ থেকে ৬৭০-এর বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়োগ করেছে), ক্যাপজেমিনি (যারা এলপিইউ থেকে ৩১০-এর বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়োগ করেছে), উইপ্রো (শিক্ষার্থী নিয়োগের সংখ্যা ৩১০-এর বেশি), এমফেসিস (শিক্ষার্থী নিয়োগের সংখ্যা ২১০-এর বেশি) এবং অ্যাকসেনচার (শিক্ষার্থী নিয়োগের সংখ্যা ১৫০-এর বেশি)। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, শীর্ষ নিয়োগকারীদের দ্বারা এলপিইউ শিক্ষার্থীদের ২০,০০০-এর বেশি প্লেসমেন্ট/ইন্টার্নশিপ দেওয়া হয়েছে।
প্লেসমেন্টের নিরিখে বিশ্বের মধ্যে ৭৪তম স্থান অধিকার করেছে এলপিইউ। টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট ব়্যাঙ্কিং ২০২২ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য যথাযথ স্থান হল এলপিইউ। এখানে অত্যাধুনিক ক্যাম্পাসের বৃহৎ প্রাঙ্গনে একই ছাদের তলায় সংযুক্ত হয়েছে ২৮টি ভারতীয় রাজ্য এবং ৫০টিরও বেশি দেশের ৩০০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়।
তা হলে আর দেরি কেন? ২০২২ শিক্ষাবর্ষে এলপিইউ-র অ্যাডমিশন শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা এবং ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন এই লিঙ্কে — https://bit.ly/3eAHjkx
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। ‘এলপিইউ’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy