মেহরাজ বেগম। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি, তাই এক মহিলাকে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠল তেলঙ্গানার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, অন্য মহিলার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে তালাক দিয়ে ওই মহিলাকে বিয়ে করতে চান বলেই তিন তালাক দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী, ২০১১ সালে মেহরাজ বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় মেহরাজসন্তানসম্ভবা হন। যদিও গর্ভস্থ অবস্থাতেই সেই সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এরপর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করেন। এর পর ২০১৬ সালে তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর অত্যাচার আরও বেড়ে যায়।মেহরাজ ও তাঁর সন্তানকে বাড়িতে রাখতে চাননি স্বামী।
সন্তান বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য মেহরাজ তাঁর স্বামীকে নিয়ে চিকিত্সকের কাছে যান। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয় না। মেহরাজের স্বামী পুত্র সন্তান না হওয়ার জন্য স্ত্রীকেই দোষারোপ করতে থাকেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মেহরাজকে তিন তালাক দেন তাঁর স্বামী। মেহরাজ স্বামীকে বিষয়টি শুধরে নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কোনও কথাই শুনতে চাননি তিনি।
আরও পড়ুন: টোম্যাটোর গয়না পরে বিয়ের সাজে পাকিস্তানি যুবতী!
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মেহরাজ জানিয়েছেন, তাঁকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন তাঁর স্বামী। না গেলে, তাঁর সঙ্গে তিন বছরের কন্যা সন্তানের ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির মুখে বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান মেহরাজ বেগম।
আরও পড়ুন: এক ঘণ্টায় ‘হাওয়া’ ৬০ হাজার টাকার জুতো! চুরির তদন্ত চেয়ে পুলিশে নালিশ
স্বামীর বিরুদ্ধে মেহরাজ বেগম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন স্বামী ফের বিয়ে করতে চান। তাই তাঁকে তিন তালাক দিয়ে অত্যাচার করে বাড়ি থেকে তাড়ানো হয়েছে।
এই বছর জুলাই মাসে সংসদে পাশ হওয়ার পর আইনত নিষিদ্ধ হয়েছে তাৎক্ষণিক তিন তালাক। এখন তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু তার পরেও এমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে আইনের তোয়াক্কা না করেই তাত্ক্ষণিক তিন তালাক দেওয়া হয়েছে।
Hyderabad: Case registered against a man for allegedly giving triple-talaq to his wife for not giving birth to a boy, & marrying another woman. Mehraj Begum, victim says, "I hope I will be given justice and my husband will be punished for his actions". #Telangana pic.twitter.com/SfI1Rfgixt
— ANI (@ANI) November 19, 2019
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy