ছবি: সংগৃহীত।
ভোটের আগে লোকসভায় পাশ হয়েও রাজ্যসভায় আটকে গিয়েছিল আধার (সংশোধনী) বিল। এ বারও গত সপ্তাহে লোকসভায় পাশ হয় বিলটি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এ বারেও আটকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল রাজ্যসভায়। কিন্তু দিনের শেষে চওড়া হাসি শাসক শিবিরে। বিরোধী শিবির সে ভাবে সক্রিয় না হওয়ায় ধ্বনি ভোটেই আজ রাজ্যসভার বাধা টপকাতে সফল হল সরকার।
আধার (সংশোধনী) বিলটি দু’সভাতেই পাশ হয়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতে মোবাইল সিম ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পরিচয়পত্র হিসেবে বাধ্যতামূলক ভাবে দরকার পড়বে না আধার কার্ড। এ জন্য আধার নম্বর চেয়ে জোর খাটাতে পারবে না সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি। তবে কোনও ব্যক্তি স্বেচ্ছায় চাইলে আধারকে নিজের পরিচয়পত্র হিসেবে জমা দিতেই পারেন ব্যাঙ্ক বা মোবাইল সংস্থার কাছে। আজ ফের ‘স্বেচ্ছা’ শব্দটি নিয়ে আপত্তি তোলেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, বিলে ওই ‘স্বেচ্ছা’ শব্দটি রেখে আসলে ঘুরপথে আধারের ব্যবহার চালু রাখার কৌশল নিল সরকার। বিতর্কের জবাবে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কগুলিতে প্রায় ৬৫ কোটি আধার সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আমজনতার যদি আধার নম্বর দিতে কোনও সমস্যা না থাকে তা হলে বিরোধীদের কেন এত মাথাব্যথা?’’
আজ রাজ্যসভার বিতর্কে অধিকাংশ সাংসদ বেসরকারি হাতে থাকা আধার তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিরোধীদের মতে, তথ্য সুরক্ষা আইন না থাকায় আধারের তথ্য চুরি হলে সরকারের পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে কোনও দিশা নেই। জবাবে রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘খুব দ্রুত ওই আইন আনা হবে।’’ তাঁর দাবি, কোনও তৃতীয় পক্ষ বায়োমেট্রিক তথ্য পেতে পারেন না। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, আধার না থাকায় বহু মানুষ রেশন পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন না সরকারি প্রকল্পের লাভ। জবাবে আজ রবিশঙ্কর জানিয়েছেন, ‘‘আধারের কারণে কোনও গরিবের অধিকার মারা যাবে না।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy