ছবি: পিটিআই।
বুথফেরত সব সমীক্ষাই এগিয়ে রেখেছে আম আদমি পার্টিকে। তা সত্ত্বেও বিজেপির আত্মবিশ্বাসী শরীরী ভাষা দেখে ফলাফল ঘোষণার আগের দিন বেশ উদ্বিগ্ন আপ শিবির। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের সঙ্গে যেখানে সরাসরি টক্কর, সেখানে ফলাফল গণনার প্রথম কয়েক ঘণ্টা না কাটা পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যে মুশকিল তা ঘনিষ্ঠ মহলে মেনে নিচ্ছেন আপ নেতারা।
তবে অরবিন্দ কেজরীবাল নিজে আত্মবিশ্বাসী। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সমীক্ষার পর তিনি ফোন করে সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মমতাকে তিনি জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত কটি আসন তাঁর ঝুলিতে আসবে সে ব্যাপারে তিনি নিঃসন্দেহ নন। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার প্রশ্নে সংশয় নেই। মমতাকে আগাম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও করে রেখেছেন কেজরী। সূত্রের খবর, অন্য কোনও কাজে আটকে না গেলে এ মাসের মাঝামাঝি দিল্লিতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, অকংগ্রেসি এবং অবিজেপি যে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে গোটা বছর নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন মমতা, তার অন্যতম অরবিন্দ কেজরীবাল। তৃণমূলের এক সংসদীয় কর্তার মতে, ‘‘আমরাই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা ঘোষিত ভাবে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে কেজরীবালের পক্ষে ভোট দেওয়ার ডাক দিয়েছিলাম।’’
আরও পড়ুন: ফের পুলিশের বেধড়ক মার, জামিয়ায় আহত বহু পড়ুয়া
এক মাস ধরে সিএএ-এনআরসি নিয়ে উত্তাল গোটা দিল্লি। যদিও বিজেপির দাবি, বৃহত্তর হিন্দু সমাজ শুরু থেকেই ওই আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে। সেই হিন্দু ভোটকে পাশে পেতে কেজরীবালের উন্নয়নের মডেলের জবাবে মেরুকরণকেই হাতিয়ার করেছিল বিজেপি। অনেকের মতে, কাল ভোটের ফলই বুঝিয়ে দেবে সেটা কতটা সফল হল।
বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য আজও দাবি করেছেন, বুথফেরত সমীক্ষার ফল ভুল প্রমাণিত হতে চলেছে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পরাস্ত হবেন কেজরীবালেরা। বিজেপির মতে, শনিবার, ভোটের দিন শেষ এক-দেড় ঘণ্টায় যে ভাবে পাঁচ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে, তা আপ নেতৃত্বের উদ্বেগ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। বিজেপি নেতা তথা মডেল টাউন কেন্দ্রের প্রার্থী কপিল মিশ্রের মতে, শেষবেলার ভোটে খেলা ঘুরে গিয়েছে, বুঝতে পারছেন কেজরীবাল। সে কারণেই এখন থেকেই ইভিএম-এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কপিলের দাবি, ‘‘কেজরীবাল নিজেও হারছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy