দিল্লি ভোটের আগেই একসঙ্গে দল ছেড়েছিলেন আট জন আপ বিধায়ক। যোগ দেন বিজেপিতে। আপের দাবি ছিল, টিকিট না পেয়েই দল ছেড়েছেন আট জন। তবে তাঁদের দলত্যাগকে খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ ছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। যদিও ভোটের ফল অনুযায়ী, ওই আট আসনেই ধরাশায়ী হয়েছে আপ। বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে আপ প্রার্থীদের। প্রশ্ন উঠছে, দলত্যাগী বিধায়কেরাই কি ‘ফ্যাক্টর’ হলেন ওই আট আসনের ফলাফলের নেপথ্যে?
দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র প্রবীণ শঙ্কর কপূর বলেন, ‘‘আপত্যাগী বিধায়কেরা এক সময় কেজরীওয়ালের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা বুঝেছেন, এখন আর কেজরীওয়াল সেই ‘আম আদমি’ (সাধারণ মানুষ) নেই, যা তিনি প্রথমে দাবি করতেন। ফলাফল থেকেই স্পষ্ট, বিরোধী আন্দোলন ছিল কেজরীওয়ালের বিপক্ষে। তবে তিনি তা মানেননি। বরং বিরোধী আন্দোলনের জন্য দলেরই কয়েক জন বিধায়ককেই দায়ী করেছিলেন এবং তাঁদের বঞ্চিত করেন।’’
গত ৩১ জানুয়ারি, দিল্লি ভোটের ঠিক পাঁচ দিন আগে একসঙ্গে আট বিধায়ক আপ ছাড়েন। আপ আহ্বায়ক কেজরীওয়ালকে চিঠি লিখে দলের সদস্যপদ ছাড়ার কথা জানান তাঁরা। কেন তাঁরা দল ছাড়লেন, তা-ও চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন বিধায়কেরা। দলত্যাগী বিধায়ক বন্দনা গৌর জানিয়েছিলেন, কেজরীওয়াল এবং আপের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলায় এই সিদ্ধান্ত। বন্দনা ছাড়াও আপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আদর্শ নগরের বিধায়ক পবন শর্মা, মেহরৌলীর বিধায়ক নরেশ যাদব, মাদিপুরের বিধায়ক গিরিশ সোনি, ত্রিলোকপুরীর বিধায়ক রোহিত কুমার, জনকপুরীর বিধায়ক রাজেশ ঋষি, কস্তুরবা নগরের বিধায়ক মদন লাল এবং বিজিওসানের বিধায়ক বিএস জুন।
আরও পড়ুন:
আট জনের মধ্যে কেজরীওয়াল এ বার সাত বিধায়ককে পুনরায় ভোটে টিকিট না দিয়ে নতুন মুখ এনেছিলেন। কিন্তু তাতেও সেই আট আসনে জয় হাসিল করতে পারেনি আপ। আদর্শনগর থেকে জয় পান বিজেপি প্রার্থী রাজকুমার ভাটিয়া। ত্রিলোকপুরীও গিয়েছে বিজেপির দখলে। জয় পেয়েছেন রবি কান্ত। এ ছাড়াও মাদিপুর থেকে কৈলাস গাঙ্গওয়াল, কস্তুরবা নগর থেকে নীরজ বসোয়া, জনকপুরী থেকে আশিস সুদ, বিজিওসান থেকে কৈলাস গহলৌত এবং মেহরৌলী থেকে জিতেছেন গজেন্দ্র সিংহ যাদব। এঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির টিকিটে লড়ে জয় পেয়েছেন।
দিল্লিতে একলা চলো নীতিতে হেঁটে মাসুল দিতে হয়েছে আপকে। ভোটগণনার পর দেখা যাচ্ছে, কেজরীর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসেরই মাসুল গুনতে হচ্ছে আপকে। ২২টি আসন আপের দখলে। বিজেপি পেল ৪৮টি আসন। শূন্য কংগ্রেস।