বাঁ দিক থেকে, রাহুল এবং কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে এ বার কংগ্রেসকে ‘ধাক্কা’ দিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা ভগবন্ত মান বুধবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী লোকসভা ভোটে পঞ্জাবের ১৩টি কেন্দ্রেই একক শক্তিতে লড়তে চান তাঁরা।
মান বুধবার বলেন, ‘‘পঞ্জাবে আমরা একার শক্তিতেই লড়ার এবং জেতার ক্ষমতা রাখি।’’ আপের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দলের পঞ্জাব নেতৃত্বের তরফে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার বিষয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছে কেজরীকে। গত সপ্তাহেই চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর জন্য জোট বেঁধে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস এবং আপ। তার পরে মানের এই বার্তায় বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরের ফাটল আরও চওড়া হল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাত, গোয়া-সহ বিভিন্ন রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠক চলছিল আপ এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি এবং পঞ্জাবের ১৩টির মধ্যে পাঁচটি কংগ্রেসকে ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে কেজরীর দল হরিয়ানায় ১০টি আসনের মধ্যে তিনটি, গোয়ার দু’টি আসনের মধ্যে একটি এবং গুজরাতে ২৬টি আসনের মধ্যে দু’টি (ভারুচ এবং অন্য একটি) চেয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘‘আমাদের (কংগ্রেস-তৃণমূলের) যে আসন বোঝাপড়ার প্রক্রিয়া রয়েছে, তা চলছে। তার ফলাফল আসবে। ওই বিষয়ে আমি এখানে কোনও মন্তব্য করব না।’’ এর পর প্রায় এক নিশ্বাসে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘মমতাজির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ও দলের সম্পর্ক (রিস্তা) খুবই ভাল। হ্যাঁ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই রকম (বিতর্ক) হয়। আমাদের কেউ কিছু বলে দেন। ওঁদের কেউ কিছু বলেন। এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সে সব এতে (আসন বোঝাপড়ায়) বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’’ এর পরেই বুধবার মমতা কার্যত বাংলায় জোটের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়ে বলেন, ‘‘আমার কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। আমার প্রস্তাব প্রথম দিনেই প্রত্যাখ্যান করেছে! আমার সঙ্গে কারও কোনও আলোচনা হয়নি। অ্যাবসোলিউটলি মিথ্যা কথা!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy