ছাঁটাই হওয়া কর্মী অনুরোধ করেছিলেন, রাতটুকু তাঁকে থাকতে দেওয়া হোক। কিন্তু সেই অনুরোধেও কর্ণপাত করেনি নিয়োগকারী সংস্থা। এমনই অভিযোগ উঠেছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের বিরুদ্ধে। ‘মানিকন্ট্রোল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হতে না-পারায় ৩০০ জনেরও বেশি শিক্ষানবিশ কর্মীকে সম্প্রতি মাইসুরু ক্যাম্পাস থেকে ছাঁটাই করে ইনফোসিস। ছাঁটাই হওয়া এক কর্মী ‘মানিকন্ট্রোল’-কে জানান, তাঁর এক মহিলা সহকর্মী কান্নায় ভেঙে পড়ে রাতটুকু অফিস ক্যাম্পাসে থাকতে দেওয়ার অনুরোধ করেন। অভিযোগ, সেই আর্জি কানে তোলেননি কর্তৃপক্ষ।
ছাঁটাই হওয়া ওই কর্মীর বয়ান অনুসারে, তাঁর মহিলা সহকর্মীকে বলা হয় সে দিনই সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অফিস ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে। ‘মানিকন্ট্রোল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই তরুণী বলেন, “আমায় রাতটুকু থাকতে দিন। আমি কালই চলে যাব। এই সময় আমি কোথায় যাব?” কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, “আপনি আর সংস্থার অংশ নন। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এলাকা ছাড়ুন।”
এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ইনফোসিস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির দাবি, শিক্ষানবিশ কর্মচারীদের নিযুক্ত করার পর তাঁদের প্রত্যেককে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হতে হয়। তিন বারের চেষ্টাতেও কেউ উত্তীর্ণ হতে না পারলে তাঁকে ছাঁটাই করা হয়। বিষয়টি নিয়োগপত্রের শর্তাবলিতেও লেখা থাকে বলে দাবি ইনফোসিসের। যদিও এই বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের সংগঠন ‘নাইটস’-এর বক্তব্য, এত বিপুল সংখ্যক কর্মীকে কোনও সংস্থা ছাঁটাই করতে পারে না। বিষয়টি কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রকের নজরে আনা হবে বলে জানিয়েছে কর্মচারী সংগঠনটি।
আরও পড়ুন:
সংবাদ সংস্থা পিটিআই ইনফোসিসের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মাইসুরু ক্যাম্পাস থেকে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কেউ তিন বারের চেষ্টাতেও অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তাই ৩০০ জনেরও বেশি শিক্ষানবিশ কর্মীকে ছাঁটাই করে ইনফোসিস।