Advertisement
E-Paper

তিহাড়ে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল! আদালতে দাবি অগুস্তা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দালালের

গত ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছিলেন জেমস। তার দিন কয়েক পরে গত ৭ মার্চ তিনি সেই জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে আবেদন করেছিলেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৪৩
অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রিটিশ দালাল ক্রিশ্চিয়ান মাইকেল জেমস।

অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রিটিশ দালাল ক্রিশ্চিয়ান মাইকেল জেমস। ছবি: সংগৃহীত।

তিহাড় জেলে তাঁকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। দিল্লির এক আদালতে এমনটাই দাবি করলেন অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রিটিশ দালাল ক্রিশ্চিয়ান মাইকেল জেমস। তাঁর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেল কর্তৃপক্ষের জবাব জানতে চেয়েছেন বিশেষ বিচারক সঞ্জীব আগরওয়াল। আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে সেই জবাব দিতে হবে তিহাড় জেলের ডিজি (কারা)-কে।

বিশেষ বিচারকের পর্যবেক্ষণ, ‘‘৩৫ নম্বর অভিযুক্তের আবেদনের ভিত্তিতে ডিজি (কারা)-র রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরে কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’’ অভিযুক্ত জানিয়েছেন, ১১ এপ্রিল একটি অস্ত্রোপচারের পর থেকে তাঁর শরীরে ক্রমাগত যন্ত্রণা হচ্ছে। সেই কথা শুনে অভিযুক্তকে ৭ এপ্রিল দিল্লির এমসের অর্থোপেডিক বিভাগে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছিলেন জেমস। তার দিন কয়েক পরে গত ৭ মার্চ তিনি সেই জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে আবেদন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, জামিনে মুক্তির পাওয়ার বদলে নিজের সাজার মেয়াদ শেষ করতে চান তিনি। তার পরে পাকাপাকি ভাবে এ দেশ ছাড়তে চান। কারণ, এখানে তাঁর ‘নিরাপত্তার ঝুঁকি’ রয়েছে। তিনি সেই জামিনের রায়ের বিরুদ্ধে আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি এই জামিন অস্বীকার করছি। এটা আমার পক্ষে অসুরক্ষিত। যত বার তিহাড়ের বাইরে গিয়েছি, কিছু না কিছু ঘটেছে। পুলিশের সঙ্গে সমস্যা রয়েছে আমার।’’

৩৬০০ কোটি টাকার অগুস্তা ঘুষকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মিশেলকে ২০১৮ সালে দুবাই থেকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়েছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেস তথা গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর ‘যোগাযোগের’ অভিযোগ তুলেছিলেন।

প্রসঙ্গত, ভিভিআইপিদের জন্য চপার (হেলিকপ্টার) কিনতে ২০১০ সালে ব্রিটিশ সংস্থা অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার। ৩,৬০০ কোটি টাকার ওই চুক্তিতে ১২টি হেলিকপ্টার কেনার কথা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৩-র শুরুতে অভিযোগ ওঠে, চুক্তিতে ঘুষের লেনদেন হয়েছে। নাম জড়ায় তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগীর। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। পরে বিতর্কের মুখে চপার চুক্তি বাতিল করে মনমোহন সরকার। সিবিআই গ্রেফতার করে ত্যাগীকে। তদন্তে উঠে তিন দালালের নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। তাঁদের মধ্যে মিশেল এক জন।

AgustaWestland Tihar Jail
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy