অপহরণ এবং গণধর্ষণের মতো গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত তিনি। হাজির করানো হয়েছে বিশেষ পকসো আদালতে। কিন্তু অভিযুক্ত অকুতোভয়, বেপরোয়া। শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রিল্স বানাচ্ছিলেন তিনি। সেটা আবার সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেন। বিষয়টি নজরে আসতেই বিস্মিত হয়ে গেলেন মামলার বিচারক। ‘অমার্জনীয় অপরাধের’ জন্য ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং হাজার টাকা জরিমানা করা হল বছর পঁচিশের ওই যুবককে। উত্তরপ্রদেশের আগরার ঘটনা।
এক নাবালিকাকে অপহরণ এবং গণধর্ষণের মামলার শুনানি চলছিল শুক্রবার দুপুরে। বিশেষ পকসো আদালতে হাজির করানো হয় ধৃত এক অভিযুক্তকে। শুনানি চলছিল। হঠাৎ পুলিশ কনস্টেবল বিনীত কুমারের নজর যায় অভিযুক্তের দিকে। তিনি দেখেন, ওই যুবক মোবাইল বার করে ভিডিয়ো করছেন। বিষয়টি বিচারকের নজরে আনেন পুলিশকর্মী। অভিযুক্তের ‘সাহস’ দেখে অবাক হয়ে যান বিচারক। তিনি জানান, এই অপরাধের ক্ষমা হয় না। প্রথমেই তিনি ওই যুবকের হাত থেকে ফোন কেড়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পর আদালতের শৃঙ্খলাভঙ্গ করার জন্য অভিযুক্তকে জরিমানা এবং কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন:
অভিযুক্তের আইনজীবী মক্কেলের এই আচরণের জন্য আদালতের কাছে ক্ষমা চান। তাঁর দাবি, মোবাইল বার করার পর আপনাআপনি ক্যামেরা খুলে গিয়েছিল। যদিও পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ভিডিয়ো তো করেইছেন। তিনি রিল্স বানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট-ও করেছেন। সব তো স্বয়ংক্রিয় ভাবে হতে পারে না। বিচারকও জানিয়ে দেন, এমন খারাপ যুক্তি গ্রাহ্য করছে না আদালত। শাস্তি পেতেই হবে দোষীকে।