(বাঁ দিকে) সোনম ওয়াংচুক। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
মিছিল করতে গিয়ে সিঙ্ঘু সীমান্তে আটক হলেন জলবায়ু-কর্মী সোনম ওয়াংচুক। আটক হয়েছেন প্রায় ১৫০-র কাছাকাছি লাদাখবাসীও। দিল্লি পুলিশের এই কাজের সমালোচনা করে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সমালোচনা শুরু হয়েছে আরও নানা মহলে।
সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে লাদাখের নেতৃত্বের সঙ্গে আরও একবার আলোচনার জন্য কেন্দ্রকে আহ্বান জানাতে লেহ থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন সোনম। মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু রাত বাড়তেই সিঙ্ঘু সীমান্তে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হন সোনম-সহ প্রায় ১৫০ জন। তাঁদের মধ্যে বহু অশীতিপর মানুষও ছিলেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা অনুযায়ী তাঁদের আটক করা হয়। এর পরেই সরব হয়েছেন রাহুল। বলেছেন, ‘‘মেনে নেওয়া যায় না। বয়স্ক নাগরিকরা লাদাখের ভবিষ্যতের জন্য লড়ছেন, আর শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে তাঁদের আটক করা হচ্ছে?’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে রাহুলের বার্তা, ‘‘কৃষক আন্দোলনের মতোই এই চক্রব্যূহও এক দিন ভাঙা হবে। আপনার দর্পও সে দিন চূর্ণ হবে। লাদাখ কী চায়, আপনাকে এক দিন শুনতেই হবে।’’
প্রসঙ্গত, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই লড়ছেন সোনম। তাঁর বক্তব্য, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি নিয়ে কেন্দ্র আলোচনা করুক। লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত করে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হোক। লাদাখের জন্য একটি পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করা হোক। সেই সঙ্গে লেহ এবং কার্গিল জেলার জন্য পৃথক পৃথক লোকসভা আসনের বন্দোবস্ত করা হোক। এমনই নানা দাবি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন বাস্তব জীবনের ‘র্যাঞ্চো’। গত মাসেও সোনম কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, দাবি না মানা হলে ২৮ দিনের জন্য অনশনে বসবেন তিনি। এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে ২১ দিনের অনশনে বসেছিলেন ওয়াংচুক। শুধু নুন-জল ছাড়া কিছুই মুখে তোলেননি ওই ২১ দিন। দাবি ছিল একটাই, লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy