বিরুদ্ধ মত প্রকাশ বা রাজনৈতিক রং দেখে নয়, নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই বিদ্বজ্জনদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাও-যোগের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে লিখিত ভাবে এই দাবি করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। শুধু তাই নয়, ধৃত পাঁচ জন যে বড়সড় নাশকতার ষড়যন্ত্রে সরাসরি যুক্ত সেই প্রমাণও মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।
গত ২৮ অগস্ট একযোগে দেশের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়ে ভারাভারা রাও, ভার্নন গঞ্জালভেস, সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেররা এবং গৌতম নওলখাকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার-সহ কিছু বিশিষ্টজন। মামলায় ধৃত বিশিষ্টজনদের পুলিশি হেফাজতের পরিবর্তে ‘হাউস অ্যারেস্ট’ বা গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি গ্রেফতারির কারণ লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
সেই নির্দেশ মতোই বুধবার লিখিত ভাবে গ্রেফতারির কারণ ব্যাখ্যা করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। লিখিত হলফনামায় পুলিশের দাবি, বিরুদ্ধ মতের কণ্ঠরোধ করতে বা ভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদকে দমন করতে বিদ্বজ্জনদের গ্রেফতার করা হয়নি। বরং ধৃতদের সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদী-র ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং বড় কোনও নাশকতার পরিকল্পনার প্রমাণ পাওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয়।