নিজস্ব চিত্র
ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি-র দফতর থেকে বেরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়ে বললেন, ‘‘আমি সব কথা বলেছি। লিখিত জবানবন্দী দিয়েছি। তবে আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই। যাঁদের ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে এই এজেন্সিগুলি কিছু করেনি। কারণ তাঁরা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। য়ারা বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তাঁদের চাপে রাখতে হবে, তাই এ সব করা হচ্ছে। আমি তদন্তকারী অফিসারদের অবস্থা বুঝি, ওঁদের কিছু করার নেই। ওদেরও চাপে থাকতে হয়। আমাদের ইচ্ছা করে আক্রমণ করা হচ্ছে।’’
অভিষেক মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘আরও জোরের সঙ্গে আমি বলছি, তৃণমূল প্রতিটি রাজ্যে যাবে। যেখানে বিজেপি আছে, আমরা যাব। লড়াই করব। আমরা অন্য দলের মতো ঘরে বসে থাকব না। জীবন বিপন্ন হোক, মাথা নত করব না। আমরা ২০২৪ সালে বিজেপি-কে হারাবোই। এখনও ২৫ জন বিধায়ক লাইনে রয়েছেন। তাঁদের আমরা নিচ্ছি না’’
কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তের বিষয়ে ২৮ অগস্ট নোটিস পাঠিয়ে অভিষেককে তলব করেছিল ইডি। সেই মতো রবিবারই দিল্লিতে পৌঁছে যান অভিষেক। দিল্লি যাওয়ার আগের কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসায় নেমেছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা ছাড়া এদের (শাসক বিজেপি) কোনও কাজ নেই।’’ একই মামলায় অভিযেকের স্ত্রী রুজিরাকেও ১ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। অতিমারি পরিস্থিতিতে সন্তানদের কলকাতায় রেখে দিল্লি যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, এই কারণ দেখিয়ে ইডি-কে চিঠি লিখেছিলেন রুজিরা। তবে সোমবার নিয়ম মাফিক ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন অভিষেক। তিনি বেরিয়ে এ কথাও বললেন, যে ‘‘আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ প্রকাশ্যে আনার কথা আমি আগেও বলেছি। পারলে প্রকাশ্যে বলা হোক আমার বিরুদ্ধে কী প্রমাণ আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy