Advertisement
২১ মে ২০২৪
Uttarkashi Tunnel Rescue Operation

১৭ দিন ঘর ছাড়া, তাই শ্রমিকদের সঙ্গে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা ‘ঘর’কে জুড়ে রাখবে প্রশাসন, কী ভাবে সম্ভব?

গত ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গের ভিতরে তাঁদের শারীরিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে প্রশাসন কোনও ত্রুটি করেনি। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ পাওয়া মুশকিল।

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ।

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
উত্তরকাশী শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২৬
Share: Save:

সিল্কিয়ারা টানেলের বাইরে শ্রমিকদের চিকিৎসার সব রকম বন্দোবস্ত প্রস্তুত। অস্থায়ী হাসপাতাল, সার সার অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শুরু করে বেশি অসুস্থ শ্রমিকদের হেলিকপ্টারে উড়িয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা বা জেলা হাসপাতালে গ্রিন করিডোরের সাহায্যে পৌঁছনো— সবই মজুত। কিন্তু টানা ১৭ দিন ধরে বদ্ধ সুড়ঙ্গে স্বজনহীন মানুষগুলোর মনের অবস্থা এখন কেমন? ৪১ শ্রমিকের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তাই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। ১৭ দিন ধরে ঘরছাড়া মানুষগুলির সঙ্গে ‘ঘর’কে জুড়ে রাখার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। আাগামী ৪৮ ঘণ্টা এই ৪১ জন শ্রমিক যেখানেই থাকুন বা যে ভাবেই থাকুন তাঁদের সঙ্গে জুড়ে থাকবে তাঁদের সেই ‘ঘর’।

প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ১৭ দিন ধরে টানেলের ভিতর বন্দী এই ৪১ জন শ্রমিকের শারীরিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে কোনও ত্রুটি রাখেননি তাঁরা। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ পাওয়া মুশকিল। সুড়ঙ্গের ভিতরে আলো ছিল ঠিকই। কিন্তু শ্রমিকেরা দিনের আলো দেখেননি গত ১৭ দিন ধরে। তার প্রভাব পড়তে বাধ্য তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। ভিতরে শ্রমিকদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করতে ভিডিয়ো গেম, লুডো-সহ নানা বোর্ড গেম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরিজনের সঙ্গে সময় কাটানোর যে মানসিক উষ্ণতা, তা ছিল না। প্রশাসন তাই ঠিক করেছে ওই ৪১ জন শ্রমিককে আাগামী ৪৮ ঘণ্টা বাড়ির লোকের সঙ্গে রাখার।

প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিকদের যদি আগামী ৪৮ ঘণ্টা হাসপাতালেও থাকতে হয়, তবে তাঁদের সঙ্গে থাকবেন তাঁদের বাড়ির লোকেরাও। এ ভাবেই অর্ধেক মাসেরও বেশি সময় ঘর ছাড়া মানুষগুলির কাছে ঘরের উষ্ণতা পৌঁছে দেওয়া হবে। যাতে আপনজনের ওম তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য উদ্ধারের বিশল্যকরণী হয়ে ওঠে।

তবে এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের বাইরে বের হওয়া নিয়েই যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। শেষ পাওয়া খবর বলছে, পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে হতে রাতও গড়িয়ে যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE