Advertisement
E-Paper

একই দিনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দুই নির্দেশে স্থগিতাদেশ! এ বার থমকাল ক্লাবঘর ভাঙার মামলাও

মঙ্গলবার সকালেই হাওড়ার লিলুয়ায় একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর পরেই খড়দহের নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৯
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

কয়েক ঘণ্টার তফাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দু’টি নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। ঘটনাচক্রে, এই দু’টি নির্দেশই তিনি দিয়েছিলেন পাঁচ দিন আগে। আর দু’টি নির্দেশই দেওয়া হয়েছিল বেআইনি নির্মাণ ভাঙার বিষয়ে। বিচারপতি বলে দিয়েছিলেন, একটিও বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ওই দুই নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ আপাতত কার্যকর করতে হবে না।

মঙ্গলবার সকালেই হাওড়ার লিলুয়ায় একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৯৫ স্কোয়্যার মিটারের একটি বেআইনি নির্মাণ ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ভেঙে ফেলতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২৩ নভেম্বর সেই নির্দেশ দেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘ভাঙার কাজে কেউ বাধা দিলে তাকে গ্রেফতার করবে লিলুয়া থানার পুলিশ।’’ বিচারপতির এই নির্দেশের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশের উপর এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেয়।

পরবর্তী স্থগিতাদেশ আসে এই ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই। গত ২৩ নভেম্বর খড়দহের একটি ক্লাবঘরকেও ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। ক্লাবটি বেআইনি জমির উপর নির্মিত বলে মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। পাল্টা ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, দানের জমির উপর ওই ক্লাবঘরটি তৈরি করা হয়েছে। যদিও বিচারপতি সেই দানের প্রমাণপত্র দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেননি ক্লাবের সদস্যরা। এর পরেই ওই ক্লাবঘর ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এ ব্যাপারে রহড়া থানাকে উদ্যোগী হতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিচারপতির এই নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

মঙ্গলবার বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন জানিয়ে দেয়, আপাতত ওই ক্লাবঘর ভাঙা যাবে না। ওই স্থান আগে পরিদর্শন করবে পুরসভা। তার পর সিদ্ধান্ত হবে নির্মাণটি বেআইনি কি না, সে বিষয়ে।

Justice Abhijit Gangopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy