Advertisement
১১ নভেম্বর ২০২৪
United Nations Organisation

ফের রাষ্ট্রপুঞ্জে যাবে সংসদীয় প্রতিনিধি দল

জানা গিয়েছে ৪ থেকে ৮ নভেম্বর বাছাই করা সাংসদেরা রাষ্ট্রপুঞ্জে থাকবেন। প্রথম দফায় ১৫ জন এবং দ্বিতীয় দফায় আরও ১৫ জন সাংসদকে পাঠানো হবে। তৃণমূলের তরফে থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব।

রাষ্ট্রপুঞ্জ।

রাষ্ট্রপুঞ্জ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:০০
Share: Save:

জওহরলাল নেহরুর প্রধানমন্ত্রিত্ব কালে শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জে সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সরকারি সফর। বিভিন্ন দলের থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের বাছাই করে একটি প্রতিনিধি দল নিউ ইয়র্কে যেত প্রতি বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের সময়ে। সেখানে বলার সুযোগ পেতেন, বিভিন্ন কমিটির বৈঠকেও উপস্থিত থাকতেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে বন্ধ হয়ে যায় এই দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। এ বছরে সেটি আবার শুরু হচ্ছে।

গত অক্টোবরে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি একটি নিবন্ধে লিখেছিলেন, ‘এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক যে ভারতীয় সাংসদদের আর রাষ্ট্রপুঞ্জে পাঠানো হয় না’। অবশেষে সংসদের দুই কক্ষের প্রতিনিধি সাংসদদের নিউ ইয়র্কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বলা হয়েছে এটি ‘অ-সরকারি সফর’। ডেরেকের কথায়, “নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল! পাঠানো যে হচ্ছে, সেটাকেই স্বাগত জানাচ্ছি। বিরোধীদের এটা একটা গঠনমূলক দাবি ছিল, যা আজ কিছুটা হলেও পূরণ হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম সরকারি সফর হোক। সেটা যদিও হয়নি।”

জানা গিয়েছে ৪ থেকে ৮ নভেম্বর বাছাই করা সাংসদেরা রাষ্ট্রপুঞ্জে থাকবেন। প্রথম দফায় ১৫ জন এবং দ্বিতীয় দফায় আরও ১৫ জন সাংসদকে পাঠানো হবে। তৃণমূলের তরফে থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। লোকসভা থেকে তৃণমূলের কোন সাংসদকে পাঠানো হবে, তা দ্রুত ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। এ ছাড়া এসপি-র রামগোপাল যাদব, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা, কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল, বিজেপির সম্বিৎ পাত্রের মতো সাংসদেরা থাকছেন ওই প্রতিনিধি দলে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আপ থেকে অন্য কোনও সাংসদকে না বেছে নেওয়া হচ্ছে স্বাতী মালিওয়ালকে, যাঁর সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের সম্পর্ক কার্যত আদায় কাঁচকলায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE