Advertisement
০২ মে ২০২৪
Joshimath

জোশীমঠের পর এ বার বিপর্যয় ছুঁয়ে ফেলল কর্ণপ্রয়াগ, প্রায় ৫০টি বাড়িতে ফাটল, ধস

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার কর্ণপ্রয়াগে একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। ধসও নেমেছে এলাকায়। ঘর ছেড়ে পরিজনদের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেন বাসিন্দারা।

কর্ণপ্রয়াগের বহুগুণা নগর এলাকায় বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে।

কর্ণপ্রয়াগের বহুগুণা নগর এলাকায় বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। ছবি পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
দেহরাদূন শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪২
Share: Save:

ডুবতে বসেছে জোশীমঠ। রাস্তার অলিগলিতে বাড়িতে বাড়িতে শুধু ফাটলের দাগ। ভিটেমাটি ছাড়ছেন বাসিন্দারা। এমন আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে এ বার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলারই আর এক প্রান্ত কর্ণপ্রয়াগে ফাটল ঘিরে উদ্বেগ ছড়াল। প্রায় ৫০টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। ছোটখাটো ধসও নেমেছে কোথাও কোথাও। মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।

কর্ণপ্রয়াগের বহুগুণা নগর এলাকায় ফাটল দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীর সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছে স্থানীয় পুরসভা। ফাটলের জেরে বহুগুণা নগরের অনেক পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে। কেউ কেউ আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কর্ণপ্রয়াগের আপার বাজার ওয়ার্ডের ৩০টি পরিবার বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।

অন্য দিকে, জোশীমঠে ফাটল আতঙ্কের মধ্যে মঙ্গলবার থেকে একাধিক নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথমে ২টি হোটেল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘মাউন্ট ভিউ’ ও ‘মালারি ইন’ নামে ওই ২টি হোটেল পরস্পরের দিকে হেলে রয়েছে। যন্ত্রের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে হোটেলগুলি।

জোশীমঠে মোট ৬৭৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৮১টি পরিবারকে নিরাপদে অন্যত্র সরানো হয়েছে। অনেকে ঘর ছেড়ে আতঙ্কে ঠান্ডার মধ্যেই খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে খাবার ও কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।

চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা বলেছেন, ‘‘নির্মাণগুলিতে সমীক্ষার কাজ চলছে। বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রয়োজনে আরও অনেক নির্মাণ ভাঙা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE