কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের প্রয়াত সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ় মুশারফের প্রয়াণের পরে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের টুইট নিয়ে রাজনৈতিক তরজা আজও জারি রইল। বিজেপির আক্রমণের জবাব দিতে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন কেরলের এই কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর টুইট-প্রশ্ন, অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন সরকার তা হলে কেন পারভেজ় মুশারফের সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে আলোচনা করেছিল।
মুশারফের প্রয়াণের পরে তারুর টুইটারে নিজের হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, ‘এক সময় মুশারফ ছিলেন ভারতের চরম শত্রু। কিন্তু ২০০২ থেকে ২০০৭ সালে তিনিই শান্তি প্রক্রিয়ার এক প্রকৃত চালিকা শক্তি হয়ে ওঠেন’। এর পরেই তারুরকে নিশানা করতে শুরু করেন বিজেপি নেতা। তাঁদের আক্রমণের নিশানা হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। আজ পাল্টা আক্রমণের রাস্তা নিলেন তারুর। তাঁর টুইট, ‘বিজেপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন: দেশপ্রেমিক ভারতীয়দের কাছে মুশারফ যদি এত ঘৃণিতই হন, তা হলে ২০০৩ সালে বিজেপি সরকার কেন তাঁর সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে আলোচনা করেছিল এবং ২০০৪ সালে বাজপেয়ী-মুশারফ যৌথ বিবৃতিতে সই করেছিলেন কেন? তখন কি তাঁকে শান্তির বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার মনে হত না’?
এখানে থেমে থাকেননি তিরুঅনন্তপুরমের এই কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর টুইট, ‘আমি এমন এক ভারতে বড় হয়েছি যেখানে আশা করা হয়— কেউ মারা গেলে তাঁর সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলা হবে। মুশারফ ছিলেন এক ক্ষমাহীন শত্রু এবং কার্গিল সংঘর্ষের জন্য দায়ী। কিন্তু ২০০২-২০০৭ পর্যন্ত তিনি নিজে উদ্যোগী হয়েছিলেন ভারত-পাকিস্তান শান্তি ফেরাতে। আমার চোখে তিনি বন্ধু নন, তিনি শান্তির মধ্যে কৌশলগত সুবিধা দেখেছিলেন’। নাম না করে তারুর ও কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy