Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Supreme Court

অন্তর্বর্তী নির্দেশ মেনে কিছু স্কুলে ২০% ফি হ্রাস

২০ শতাংশ ফি কমানোর ফলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বেশ কিছু স্কুল-কর্তৃপক্ষ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৫
Share: Save:

চূড়ান্ত রায় হয়নি এখনও। তবে সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ মেনে বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার আগে পর্যন্ত ২০ শতাংশ ফি হ্রাসের কথা ইতিমধ্যে তাদের নোটিস বোর্ডে বা ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কিছু স্কুল-কর্তৃপক্ষ এটাও জানিয়েছেন যে, কলকাতা হাইকোর্টের রায় এবং শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশ মেনে তাঁরা আপাতত ২০ শতাংশ ফি কমালেও ফি সংক্রান্ত মামলায় সর্বোচ্চ আদালত চূড়ান্ত ভাবে যে-রায় দেবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে ধরা হবে।


তাঁরা ২০ শতাংশ ফি কমানোর নোটিস দিয়েছেন বলে জানান সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য। ফি সংক্রান্ত মামলায় শুনানি এখনও বাকি আছে। সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত কী রায় দেয়, তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” প্রায় একই কথা বলেছেন লা মার্টিনিয়ার স্কুলের সচিব সুপ্রিয় ধর। ‘‘কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী আমরা ২০ শতাংশ ফি কমানোর কথা বলেছি ঠিকই। কিন্তু আমাদের মতো সংখ্যালঘু স্কুলগুলিতে ফি কেমন হবে, সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে এখনও শুনানি হয়নি। শীর্ষ আদালত যে-রায় দেবে, তা-ই হবে,” বলেন সুপ্রিয়বাবু। একই ভাবে নোটিস দিয়ে ২০ শতাংশ ফি কমানোর কথা অভিভাবকদের জানিয়েছে ডন বস্কো, মডার্ন হাইস্কুল ফর গার্লস, ডিপিএস রুবি পার্ক, শ্রীশিক্ষায়তন প্রভৃতি স্কুল।


২০ শতাংশ ফি কমানোর ফলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বেশ কিছু স্কুল-কর্তৃপক্ষ। তাই তাঁরা আবেদন করছেন, যে-সব অভিভাবকের পুরো ফি দেওয়ার সামর্থ্য আছে, তাঁরা যেন তা মিটিয়ে দেন। পুরো ফি দিলে স্কুল-কর্তৃপক্ষ উপকৃত হবেন। রামমোহন মিশন হাইস্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, “আমরা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ২০ শতাংশ ফি কমানোর কথা বলেছি। তবে অভিভাবকদের কাছে আবেদন করেছি, যাঁরা পুরো ফি দিতে পারবেন, তাঁরা যেন তা দিয়ে দেন। নইলে স্কুল অর্থসঙ্কটে পড়বে।”

আরও পড়ুন: মোদীর ‘যুবরাজ’ কটাক্ষে পাল্টা নিশানা তেজস্বীর​

আরও পড়ুন: মদ তো বন্ধ, কিন্তু জাহাঙ্গিরের মুদ্রা?​


বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর স্কুলে গড়ে পাঁচ শতাংশ ফি বাড়ানো হয়। অর্থাৎ ২০ শতাংশ ফি কমানো মানে চার থেকে পাঁচ বছরের পুরনো ফি-তে ফিরে যাওয়া। এটা অনেক বেসরকারি স্কুলের পক্ষেই সম্ভব নয়। যেমন বাগুইআটির ন্যাশনাল ইংলিশ হাইস্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহা জানান, তাঁদের স্কুলে এমনিতেই ফি কম। তার উপরে ২০ শতাংশ ফি ছাঁটলে টাকা এতটাই কমে যাবে যে, স্কুল পরিচালনা করা কঠিন হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দিতে অসুবিধা হতে পারে। করোনার জন্য বহু ছোট বেসরকারি স্কুল অনলাইন ক্লাস করাচ্ছে, বন্ধ হয়ে যেতে পারে তা-ও। ‘‘তাই অতিমারিতে যে-সব অভিভাবকের আর্থিক সমস্যা হয়নি, পুরো ফি দেওয়ার জন্য তাঁদের আর্জি জানাচ্ছি,” বলেন মৌসুমীদেবী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

School Fees Verdict Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE