কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বাড়িতে শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার। করিমগঞ্জে। ছবি: শীর্ষেন্দু সী।
অসমের জলসম্পদ বিভাগের পরিষদীয় সচিব কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাল অপ্রাদেশিকৃত শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যমঞ্চ। আজ কমলাক্ষবাবুর সুভাষনগরের বাড়িতে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যমঞ্চ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। সংগঠনের সদস্যরা জানান, রাজ্য সরকার ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা করা হয়নি। তারই প্রতিবাদে এ দিন কমলাক্ষবাবুর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঐক্যমঞ্চের সদস্যরা পরিষদীয় সচিবের বাড়িতে ঢুকে গেলেও তাঁদের বাধা দিতে পারেননি সেখানে বহাল নিরাপত্তারক্ষীরা। কমলাক্ষবাবুর বাড়িতে ঢুকেই মঞ্চের সদস্যরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা জানিয়ে দেন, সরকার যদি এখনও তাঁদের চাকরি স্থায়ী না করে তা হলে তাঁরা জঙ্গি আন্দোলনের দিকে এগোবেন।
খবর পেয়ে করিমগঞ্জের সদর ডিএসপি রণবীর শর্মা বিশাল পুলিশ-সিআরপিএফ বাহিনী নিয়ে পরিষদীয় সচিবের বাড়িতে পৌঁছন। তিনি জানান, জলসম্পদ বিভাগের পরিষদীয় সচিব বাড়িতে নেই। তার পরও এ ভাবে আন্দোলন কার্যসূচি পালন করা অগণতান্ত্রিক। এর পরই বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে হঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘণ্টাদেড়েক পর কমলাক্ষবাবু বাড়ি ফিরলে বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। অসম শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যমঞ্চের সভাপতি অনুপকুমার নাথ এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল নইম তাপাদার জানান, বর্তমানে করিমগঞ্জ জেলায় এমই স্কুলে ৭০ জন, হাইস্কুলে ১৩ জন, মাদ্রাসাতে ১২ জন এবং প্রাথমিক স্কুলে ৩০০ জন শিক্ষকের চাকরি নিয়মিত হয়নি।
সরকার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলির ওই শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্ত ৭ বছর পরও তা করা হয়নি। সরকারের কাছে সেই বার্তা পাঠাতেই রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পথে এগোনো হয়েছে।
জলসম্পদ বিভাগের পরিষদীয় সচিব তথা উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষবাবু তাঁদের জানান, শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ী করার জন্য তিনি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষক ঐক্যমঞ্চের এই আন্দোলনের কথা তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে জানানোরও আশ্বাস দেন। এর পরই আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে প্রস্থান করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy