Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বেহাল সড়ক, পাঁচগ্রামে বিক্ষোভ

নদী ভাঙনে দিন পনেরো ধরে বন্ধ জাতীয় সড়ক খোলার দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হল হাইলাকান্দির পাঁচগ্রাম। বরাক নদীর ভাঙনে পাঁচগ্রামের কালীবাড়ি এলাকায় ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ১৫ দিন ধরে বন্ধ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৫ ০৪:০৭
Share: Save:

নদী ভাঙনে দিন পনেরো ধরে বন্ধ জাতীয় সড়ক খোলার দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হল হাইলাকান্দির পাঁচগ্রাম।

বরাক নদীর ভাঙনে পাঁচগ্রামের কালীবাড়ি এলাকায় ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ১৫ দিন ধরে বন্ধ। তাতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অভিযোগ, ওই এলাকায় নদী ভাঙন রুখতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ হয় না। এ নিয়ে একাধিক সংগঠন প্রশাসনের কাছে আর্জি জানালেও লাভ হয়নি।

আজ কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি ও নেতাজি যুব সংস্থার নেতৃত্বে বিভিন্ন সংগঠন পাঁচগ্রামে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। সংগঠনগুলি দাবি তোলে, ওই রাস্তায় ভাঙন মেরামতির জন্য বরাদ্দ টাকা কোথায় গেল, তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত করতে হবে। দ্রুত মেরামতি করে বন্ধ থাকা সড়ক খুলতে হবে। আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা গৌতম রায়, মন্ত্রী অজিত সিংহ ও সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস, সুস্মিতা দেবের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। কেএমএমএস সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক জহিরউদ্দিন লস্কর বলেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবসের আগে এই রাস্তায় নদী ভাঙন মেরামতি করা না হলে বরাকের দুই সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও এক মন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হবে। পাঁচগ্রামে বরাকের ভাঙন প্রতিরোধে মুখমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প, ব্রহ্মপুত্র বোর্ড এবং এফডিআর খাতে বিভিন্ন সময় প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি।’’

হাইলাকান্দির জেলাশাসক বরুণ ভুঁইঞা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ভাঙন রুখতে বরাদ্দ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দেন। এ জন্য ৩ সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হবে। আগামী কাল থেকেই মেরামতির কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এরপরই অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Panchgram Agitation road hailakandi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE