রাজ্যে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ বার প্রতিবাদে নামছে কংগ্রেস। অসম প্রদেশ কংগ্রেস তেমনই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের নির্দেশে করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস আগামী ২৪ আগস্ট করিমগঞ্জের ৩৭ নম্বর এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করবে।
এই অবরোধ কর্মসূচিকে সফল করতে জেলা কংগ্রেস আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। অধিক থেকে অধিক সংখ্যক লোক সমাগম করতে গ্রামাঞ্চল থেকে সমর্থকদের অবরোধ স্থলে নিয়ে আসার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা কংগ্রেস। করিমগঞ্জের জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায় এক ঘণ্টার জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে জানাতে গিয়ে বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক মেরামতির দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। বরাক উপত্যকার প্রায় সব ক’টি জাতীয় সড়কের অবস্থা করুণ। জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ তাঁর বক্তব্য, আগে জাতীয় সড়ক মেরামতির দায়িত্ব ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু বর্তমানে সেই সড়কগুলি মেরামতির দায়িত্ব নিজেদের হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই ২৪ আগস্ট বদরপুর, মোবারকপুর, আছিমগঞ্জ, ফকিরাবাজারে ৬ এবং ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে সকাল ১১ টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে প্রদেশ কংগ্রেস নির্দেশ দিয়েছে।
কংগ্রেসের জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচিকে ভাঁওতাবাজি আখ্যা দিয়েছেন প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি মিশনরঞ্জন দাস। তিনি বলেন, ‘‘২০০৭-এ বরাক উপত্যকার জাতীয় সড়কের দায়িত্ব কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্য সরকার গ্রহণ করে। সে সময় বরাক উপত্যকার জাতীয় সড়ক মেরামতিতে কোটি কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল।’’ বরাকের তত্কালীন কংগ্রেস মন্ত্রীরা নিজেদের ঘনিষ্ঠ নির্মাণ সংস্থার মাধ্যমে জাতীয় সড়ক মেরামতির নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে তাঁর অভিযোগ। মিশনবাবুর বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস বরাকের জনগণকে বোকা বানাতে চাইছে। জাতীয় সড়ক মেরামতির দায়িত্ব রাজ্য সরকারের উপর থাকার পরও নাম যেহেতু জাতীয় সড়ক তাই তার দায়ভার কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপাতে চাইছে।’’ তিনি কংগ্রেসকে মায়া কান্না বন্ধ করে উপত্যকার পূর্ত সড়কগুলি সংষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘‘বদরপুর থেকে চুরাইবাড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়ক মেরামতির জন্য ২০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকার নাকি সেই সড়ক সংস্কারের জন্য ঠিকাদার পাচ্ছে না।’’এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করা হবে কেন, জানতে চান মিশনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy