অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম মৃত্যুর সাক্ষী হল সেকেন্দরাবাদ স্টেশন। ছবি: পিটিআই।
অগ্নিপথ বিরোধী বিক্ষোভে প্রথম রক্ত ঝরল তেলঙ্গানায়। শুক্রবার দুপুরে সেকেন্দরাবাদ স্টেশনে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে গুলি চালায় পুলিশ। ওই ঘটনায় এক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শুক্রবার দুপুরে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে আগুন লাগানো হয় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে। পুলিশ সূত্রের খবর, স্টেশন চত্বরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা ট্রেন পোড়ায়। সে সময় উত্তেজিত জনতাকে ঠেকাতে অন্তত ১৭ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। নিহত যুবক তেলঙ্গানার ওয়ারঙ্গল জেলার বাসিন্দা বলে সেকেন্দরাবাদ পুলিশ জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দাক্ষিণাত্যে। রাজধানী হায়দরাবাদ এবং খম্মাম, নালগোন্ডার মতো জেলায় হয় অবরোধ। ঘটনাচক্রে, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে ভারতীয় সেনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় রয়েছেন তেলুগুভাষীরাই। ব্রিটিশ জমানায় গঠিত মাদ্রাজ রেজিমেন্টের অন্তর্গত ব্যাটেলিয়নগুলির সেনাদের বড় অংশই তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। ওই দুই রাজ্যের যুবকদের দীর্ঘ দিন ধরেই সেনায় যোগদানের প্রবণতা রয়েছে। ফলে আগামী দিনে সেখানে অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই প্রকল্পে সাড়ে ১৭-২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য মাসিক ৩০-৪৫ হাজার টাকার চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’। সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সেই ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের ১১-১২ লক্ষ টাকা হাতে দিয়ে পাঠানো হবে অবসরে। থাকবে না কোনও পেনশন। রাজ্যে রাজ্যে আন্দোলন শুরুর পরে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যোগদানের বয়ঃসীমা এককালীন (শুধু প্রথম বার নিয়োগের ক্ষেত্রে) বাড়িয়ে ২৩ করেছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy