গত কয়েক দিন ধরেই মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশে লাগাতার কৃষক বিক্ষোভ চলছে। খরা কবলিত মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় পেঁয়াজ, ডাল-সহ উৎপাদিত শস্যের বেশি দাম চেয়ে এবং ঋণ মকুবের দাবিতে নিয়ে পথে নেমেছেন কৃষকেরা। মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে ঋণ না মেটাতে পেরে এক কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনার পর রাস্তায় নামেন চার হাজার কৃষক। কৃষক বিক্ষোভে সামিল হয় মধ্যপ্রদেশও। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলায় বিক্ষোভ থামাতে কৃষকদের উপর গুলি পর্যন্ত চালায় পুলিশ। তাতে মারা যান পাঁচ জন কৃষক। ঘটনার পর রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকারের সমালোচলায় মুখর হয় কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার বন্ধের ডাকও দেয় তারা। এ দিন মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচি ছিল কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর। কিন্তু, রাজ্যে ঢুকতেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। এই আবহেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী যোগ দেন বাবা রামদেবের যোগশিবিরে। তিন দিনের ওই শিবিরে গিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চেই বাবা রামদেবের সঙ্গে যোগাসন করেন রাধামোহন সিংহ। এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ বলেন, “কৃষিমন্ত্রীর উচিত ছিল মন্দসৌরে গিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা।” কৃষকদের সমস্যা নিয়ে যে সরকার চিন্তিত নয় সে অভিযোগও করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আরও অভিযোগ, “বিষয়কে যথেষ্ট গুরুত্বই দিচ্ছেন না কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীই বা কী করছেন? আর তাঁর মন্ত্রীরাই বা কী করছেন?” তবে বিরোধীদের সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা হিতেশ বাজপেয়ীর দাবি, “যাঁরা বিক্ষোভ করছেন তাঁরা আসলে কৃষকই নন, বরং রাজনৈতিক দলের কর্মী।”