দিল্লিতে ভোট প্রচারের শেষ দিনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে নিশানা করলেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বিজেপিকে ভোটে জেতাতে সক্রিয় হলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না কমিশন।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে কেজরী বলেন, ‘‘আজ নির্বাচন কমিশন যে ভাবে বিজেপির সামনে আত্মসমর্পণ করেছে, তাতে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের অস্তিত্বই নেই। এই নিশ্চেষ্টতা একটি খুব বড় প্রশ্ন প্রকাশ্যে এনেছে। জনগণের মনে যুক্তিসঙ্গত ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এই মাসের শেষে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরে রাজীব কুমারজি কোন পদ পেতে চলেছেন? তাঁকে কী ধরনের পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে?’’
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে এক দফায় বিধানসভার ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি হবে গণনা। সোমবার সন্ধ্যা ৫টায় শেষ হবে প্রচারের পালা। সেখানে প্রতিটি আসনে মুখোমুখি লড়ছে আপ, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং কংগ্রেস। তবে মূল লড়াই আপ এবং বিজেপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত। সেখানে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশের মদতে বিজেপি গুন্ডামি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে আপ।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার অবসর নেবেন। তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে সম্ভাব্য পাঁচ জন শীর্ষ স্তরের আমলার নাম বাছাই করার জন্য ইতিমধ্যেই সার্চ কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। কেজরীর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে কমিশনের একাংশের মদতে ‘হোম ভোটিং’-এর নামে কারচুপি করতে সক্রিয় হয়েছে বিজেপি। কী সেই কারচুপি? কেজরীর দাবি, মঙ্গলবার দিল্লির বিভিন্ন বস্তির গরিব ভোটারদের কাছে (যাঁদের বড় অংশই আপের সমর্থক) কমিশনের নাম করে বিজেপির কর্মীরা নকল ইভিএম নিয়ে হাজির হবে। তার পর সেই নকল ইভিএমের বোতাম টিপিয়ে আঙুলে ‘আসল’ কালি লাগিয়ে দেওয়া হবে! এর ফলে পর দিন (বুধবার) কারচুপির ঘটনা জানতে পারলেও ওই ভোটারদের ভোটদানে অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না।