কংগ্রেস আরজেডি-র দখলে থাকা চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে লড়তে চাইছে। তেজস্বী যাদবের আরজেডি পাল্টা চালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমারের বিধানসভা আসন চেয়ে বসেছে।
বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে এক দিকে শাসক শিবিরে বিজেপি ও জেডিইউ-র মধ্যে পাঞ্জার লড়াই চলছে। অন্য দিকে বিরোধীদের মহাগঠবন্ধনেও দুই প্রধান দল আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যেও বিরোধ বাড়ছে। পরিস্থিতি এমনই যে বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে খান দশেক আসনে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’-এর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যার অর্থ, ওই সব আসনে আরজেডি ও কংগ্রেস দুই দলই প্রার্থী দেবে।
শুক্রবার পটনায় কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক হয়। তার পরে দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাই কমিটির বৈঠক হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, দলের বর্তমান ১৭ জন বিধায়ককেই ফের প্রার্থী করা হবে। পাঁচ বছর আগে কংগ্রেস ৭০টি আসনে লড়ে ১৯টি আসনে জিতেছিল। পরে দু’জন বিধায়ক দলবদল করেন। বর্তমান ১৭ জন বিধায়ককে প্রার্থী করার পাশাপাশি কংগ্রেস আরও এমন আসন চাইছে, যেখানে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি আসনে এখন আরজেডি-র বিধায়ক রয়েছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের যুক্তি, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভোটার অধিকার যাত্রার পরে কংগ্রেসের পক্ষে ঢেউ উঠেছে। যদিও আরজেডি-র দাবি, মহাগঠবন্ধনে বাম দলগুলি নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী আসন দাবি করে। কিন্তু কংগ্রেসের যেখানে নিচু তলায় সংগঠন নেই, সেই আসনও চেয়ে বসছে। কংগ্রেসকে আসন ছেড়ে আরজেডি-র বিধায়কদের টিকিট কাটা হলে তাঁরা প্রশান্ত কিশোরের দলে গিয়ে যোগ দেবেন। তাতেও নেতা ও আসন, দুই-ই হাতছাড়া হবে।
আরজেডি-র পাল্টা দাবি, ঔরঙ্গাবাদ জেলার কুটুম্বা আসন কংগ্রেস ছেড়ে দিক। সেখানে এখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার বিধায়ক। জোটের সমস্যা বাড়িয়ে নতুন শরিক, মুকেশ সাহনির বিকাশশীল ইনসান পার্টি গোটা পঞ্চাশেক আসন ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবি জানিয়েছে।আরজেডি-র সঙ্গে সংঘাতে যাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের দুই আরজেডি-ঘনিষ্ঠ নেতা, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অখিলেশ সিংহ ও প্রাক্তন পরিষদীয় দলনেতা অজিত শর্মা ক্ষুব্ধ বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার তাঁরা পটনার বৈঠক থেকে আগেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দু’জনেই অবশ্য পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল বলে দাবি করেছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)