নার্সকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন এমসের এক নাম করা চিকিৎসক। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিলেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস) কর্তৃপক্ষ।
যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম একে বিসোই। তিনি দিল্লি এমসের কার্ডিয়োথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জারি (সিটিভিএস) বিভাগের প্রধান ছিলেন। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হেনস্থা, খারাপ শব্দ ব্যবহার, হুমকির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পাঠিয়েছিল এমসের নার্সদের সংগঠন। তার পরেই বিসোইকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় সিটিভিএস বিভাগের প্রধান করা হল চিকিৎসক ভি দেবেগৌড়াকে। একটি নির্দেশিকায় এমসের ডিরেক্টর এম শ্রীনিবাস জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেবেগৌড়াই ওই পদ সামলাবেন। অর্থাৎ, অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত চিকিৎসক।
জানা যাচ্ছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক নার্সিং অফিসার এমসের ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দেয় নার্সদের সংগঠন। গত ৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর অফিসেও অভিযোগপত্র পৌঁছে দেয় তারা। তাতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে মহিলাকে যৌন হেনস্থা এবং অপমানের অভিযোগ করা হয়। তার পরেই এই পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন:
পদ থেকে অপসারিত হলেও হাসপাতালের তদন্তকারী কমিটির মুখোমুখি হতে হবে বিসোইকে।
এমসের নার্সদের সংগঠনের দাবি, এটাই প্রথম বার নয়, এর আগেও বিসোইয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ২০০৯ সালে ভিন্ন একটি অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ২০১২ সালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এক বার সাসপেন্ড হন বিসোই। ২০১৯ সালে আবার এক বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তখন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি নিলম্বিত চিকিৎসক।