Advertisement
E-Paper

ইতিহাসে প্রথম বার, নার্সদের গণছুটিতে বন্ধ রইল দিল্লি এইমসের জরুরি বিভাগ

এইমসের ইতিহাসে এই প্রথম, বন্ধ থাকল দেশের অন্যতম ব্যস্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। সৌজন্যে নার্সদের বিক্ষোভ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ১৮:১৯

এইমসের ইতিহাসে এই প্রথম, বন্ধ থাকল দেশের অন্যতম ব্যস্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। সৌজন্যে নার্সদের বিক্ষোভ।

সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মাইনে বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার এই হাসপাতালের নার্সরা গণছুটি নেন। ৫ হাজার নার্স এক সঙ্গে ছুটি নিয়েছিলেন। কর্মী সংখ্যা কম থাকায় গুরুতর অসুস্থদেরও ভর্তি নেওয়া হয়নি।

প্রতিদিন দু’শোর বেশি অস্ত্রোপচার হয় এইমসে। নার্স না থাকায় গতকাল বড় ছোট কোনও অস্ত্রোপচারই করা যায়নি। শুধুমাত্র আপৎকালীন অপারেশন করা সম্ভব হয়েছে। সিনিয়র প্যারা মেডিক্যাল স্টাফ ও ছাত্রছাত্রীরা রোগীদের অপারেশন করেন।

আরও পড়ুন: মারুতির ম্যানেজার হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন

নার্সের অভাবে এইমসের ক্যাজুয়ালটি বিভাগ এবং ট্রমা সেন্টারে একজন রোগীকেও গতকাল ভর্তি নেওয়া যায়নি। কিন্তু বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে এইমসের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে প্রতিদিন অন্তত ৪৫০ জন রোগী ভর্তি হন। জরুরি পরিষেবার জন্য এইমসের ট্রমা সেন্টারে রোজ ভর্তি হন অন্তত ১৫০জন। এইমসের জরুরি বিভাগে প্রতিদিন প্রায় দু’হাজার রোগী আসেন। কিন্তু গতকাল নিরাপত্তারক্ষীরা রোগীদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেন। চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছিল রোগীদের। তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা।

মাইনে বাড়ানোর দাবিতে এইমস চত্বরে আন্দোলনরত নার্সরা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নার্সদের দাবি ন্যায্য হলেও, তাঁরা আন্দোলনের যে পন্থা নিয়েছেন তা অমানবিক। এর আগেও এইমসে নার্সরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, কিন্তু জরুরি বিভাগে পরিষেবা কখনও ব্যাহত হয়নি। এমন অনেক রোগী এইমসে পরিষেবা নিতে আসেন, যাঁরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার জন্য এইমস কর্তৃপক্ষকে দুষছেন রোগীর আত্মীয়রা। ধর্মঘটি নার্সরা শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে কাজে যোগ দেন। এরই সঙ্গে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন যে, তাঁরা আর এ ভাবে কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করবেন না। তাঁদের দাবিদাওয়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

AIIMS Mass Casual Leave 5000 Nurses Nurse
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy