ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময় পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ায় তুরস্ক সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
তুরস্ককে দ্রুত অবস্থান পুনর্বিবেচনায় বার্তা দিয়ে হায়দরাবাদের সাংসদ বলেন, ‘‘মনে রাখবেন পাকিস্তানের চেয়ে বেশি মুসলিম ভারতে বসবাস করেন। ২২ কোটি মুসলিম ভারতের সম্মাননীয় নাগরিক। তাই অন্ধ ভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করবেন না।’’ ভারতের সঙ্গে তুরস্কের ‘গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক’ এবং সে দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় নয়াদিল্লির সহায়তার কথাও মনে করিয়ে দেন ওয়েইসি।
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জবাবে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরের পরে খোলাখুলি ইসলামাবাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ানের সরকার। তাদেরই দেওয়া ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের জনবসতি এবং সামরিক পরিকাঠামোর উপর আঘাত হানার চেষ্টা করেছে পাক ফৌজ। এমনকি, সংঘাতের আবহেও বিমানবোঝাই অস্ত্র আঙ্কারা থেকে ইসলামাবাদে পৌঁছেছিল বলে অভিযোগ। আঙ্কারের এই পদক্ষেপের জবাবে ইতিমধ্যেই আর্থিক প্রত্যাঘাতর পথে হেঁটেছে নয়াদিল্লি।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের সংস্থা সেলেবি অ্যাভিয়েশনের ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিল করেছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে ছিল সংস্থাটি। বস্তুত, এর্ডোয়ানের নেতৃত্বাধীন তুরস্কের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই সম্পর্কে অধোগতি চলছে ভারতের। কাশ্মীর নিয়ে সরাসরি তিনি পাকিস্তানের পাশে থেকেছেন। ২০২২ সালে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বক্তৃতায় পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে সুষ্ঠু, স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ ভারত। আদর্শগতভাবেও তুরস্ক যে পাকিস্তানের সহমর্মী, সে কথাও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার করে বলেছেন সেই দেশের কর্তারা।