সরকারি জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের পুত্র পার্থ। তাঁর সংস্থা আমেডিয়া এন্টারপ্রাইজ়কে ২১ কোটি টাকার সম্পূর্ণ স্ট্যাম্প ডিউটি দিতেই হবে। শুধু তা-ই নয়, সঙ্গে জরিমানা হিসাবে গুনতে হবে আরও ১.৪৭ কোটি টাকা। এ-ও সতর্ক করা হয়েছে, টাকা পরিশোধ করতে যত সময় নেবে, ততই বাড়বে জরিমানার পরিমাণ!
মাস খানেক আগে জমি-বিতর্কে জড়ান পার্থ। বিতর্কের সূত্রপাত পুণের মুন্ধওয়ায় একটি সরকারি জমি কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, ওই জমি বেআইনি ভাবে বিক্রি করা হয়। আর তা কেনে অজিত-পুত্রের সংস্থা। শিবসেনা (ইউবিটি) এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, পুণেতে যে জমি বিক্রি করা হয়েছে, তার মূল্য প্রায় ১,৮০০ কোটি টাকা। খাতায়কলমে তা কম করে দেখানো হয়েছে। পার্থের সংস্থা আমেডিয়া এন্টারপ্রাইজ়কে মাত্র ৩০০ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। ২১ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ডিউটিও মকুব করার অভিযোগ উঠেছে।
বিতর্কের মুখে পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা যায়, ৩০০ কোটি টাকায় জমি কেনার পর মাত্র ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি দিয়েছে পার্থের কোম্পানি। বিভাগীয় তদন্তের পর রাজ্যের রাজস্ব দফতর জানায়, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পার পাবেন না অজিত-পুত্র। তাঁর সংস্থাকে বকেয়া ২১ কোটি টাকার শুল্ক জমা করতে হবেই। স্ট্যাম্প শুল্ক জমা দেওয়ার জন্য ৬০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে স্ট্যাম্প ডিউটি যদি তারা না দেয় তবে আরও জরিমানা আরোপ করা হবে।
আরও পড়ুন:
বেআইনি চুক্তি এবং স্ট্যাম্প ডিউটি না দেওয়ার অভিযোগে এই ঘটনায় দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। তবে ওই এফআইআরে নাম ছিল না পার্থের। আমেডিয়া এন্টারপ্রাইজ়ে পার্থের শেয়ার রয়েছে ৯৯ শতাংশ। আর বাকি এক শতাংশ শেয়ার রয়েছে তাঁর ব্যবসায়িক বন্ধু দিগ্বিজয় পাটিলের নামে। এফআইআরে দিগ্বিজয়ের নাম থাকলে কেন পার্থের নাম নেই, তা নিয়ে প্রশ্নও তোলে বিরোধীরা। এই বিতর্কে অজিত দাবি করেন, তাঁর পুত্র জানতেন না, যে জমিটা তাঁর সংস্থা কিনেছে, তা আদতে সরকারের।