বাবা মুলায়ম সিংহ যাদব ২০০৫ সালে যে কাজ শুরু করেছিলেন, এক দশকের মাথায় উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে সেই কাজ শেষ করলেন অখিলেশ। বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে রাজ্যের মোট ১৭টি মোস্ট ব্যাকওয়ার্ড কাস্ট (এমবিসি)-কে দলিত শ্রেণির মর্যাদা দিলেন তিনি। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রের দ্বারস্থ অখিলেশ সরকার।
ফি ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের পিছিয়ে থাকা মাল্লা, কুমহার, প্রজাপতি সম্প্রদায়ের লোকেদের আশ্বাস মেলে। কিন্তু দলিত মর্যাদা জোটে না। সেই বঞ্চনার ইতিহাসকে হাতিয়ার করে ভোটের আগে বিজেপি চেয়েছিল এমবিসি-দের স্বপ্ন ফের উস্কে দিতে। কিন্তু গত কাল অখিলেশ সিংহের মোক্ষম চালে এখন বিপাকে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। বিলটি পাশ করিয়ে কেন্দ্রের কোর্টে ঠেলে দিয়ে নরেন্দ্র মোদী-রাজনাথ সিংহদের পাল্টা চাপে ফেলে দিলেন অখিলেশ।
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে একচেটিয়া ভাবে দলিত ভোটের দখলদারি থাকে মায়াবতীর দলের। ‘বহেনজি’-কে দুর্বল করতেই দলিত ভোটব্যাঙ্কে সরাসরি সিঁধ কাটতে নেমেছেন অখিলেশ। একই চেষ্টা ছিল বিজেপিরও। পরিকল্পিত ভাবেই ভোটের দিন ঘোষণার ঠিক আগে ১৭টি গোষ্ঠীকে দলিত শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা করে দিলেন অখিলেশ। তার পরেই তা চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য পাঠিয়ে দেন কেন্দ্রের কাছে। সপা শিবিরের বক্তব্য, কেন্দ্র দ্রুত ওই বিষয়টিতে সবুজ সঙ্কেত দিলে ওই মানুষগুলির উপকার হবে। রাজ্যের তরফে যা করার অখিলেশ করে দিয়েছেন। সপা নেতৃত্বের কথা থেকেই স্পষ্ট, রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়ার জন্যই তড়িঘড়ি ওই পদক্ষেপ করেছে দল। কারণ সপা নেতৃত্ব খুব ভাল করেই জানেন, উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। ফলে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হওয়ার আগে এ বিষয়ে কেন্দ্র আদৌ কতটা উদ্যোগী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ কেন্দ্র ছাড়পত্র দিলে লাভের গুড় খাবে সপা। আর দেরি করলে দায় হবে বিজেপির।
তাঁর ভোটব্যাঙ্ক ভাঙতেই যে অখিলেশ ওই পদক্ষেপ করেছে, তা বুঝে এখন রাগে ফুঁসছেন মায়াবতীও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy