Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

সভাপতি পদ থেকে সরছেন না অখিলেশ

ভোটের আগে কথা দিলেও নেতাজিকে আর দলের জাতীয় সভাপতির পদ ফিরিয়ে দিতে চাইছেন না অখিলেশ যাদব। লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এই পদ নিজের হাতেই রাখতে চান উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

অখিলেশ যাদব

অখিলেশ যাদব

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৩:২৮
Share: Save:

ভোটের আগে কথা দিলেও নেতাজিকে আর দলের জাতীয় সভাপতির পদ ফিরিয়ে দিতে চাইছেন না অখিলেশ যাদব। লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এই পদ নিজের হাতেই রাখতে চান উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

বাবার থেকে দলের জাতীয় সভাপতির পদ কেড়ে নেওয়ার সময় অখিলেশ কথা দিয়েছিলেন, ভোটে জিতে সেটি ফিরিয়ে দেবেন। মাত্র পাঁচ দিন আগে লখনউয়ে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে জল্পনা উস্কে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর দলের বৈঠকে জাতীয় সভাপতির নির্বাচন হয়ে যাবে। যার থেকে অনেকের ধারণা হয়েছিল, সভাপতি পদটি আবার মুলায়ম সিংহের হাতেই ছেড়ে দেবেন অখিলেশ। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মহলে অখিলেশ জানিয়েছেন, সমাজবাদী পার্টির সভাপতির পদটি তিনি নিজের হাতেই রাখবেন। তাঁর মতে, মুলায়মের হাতে ক্ষমতা ছাড়লেই শিবপালরা আবার জাঁকিয়ে বসবেন। পরিবারের কোন্দলের খেসারত এমনিতেই দিতে হয়েছে বিধানসভায়। লোকসভার আগে আর কোনও ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই।

এই লক্ষ্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশে হারের পরেও দলের রাশ নিজের হাতে রাখতে আরও সক্রিয় হয়েছেন অখিলেশ। দু’দিন আগে নতুন বিধায়কদের সঙ্গে তিনিই বৈঠক করেছেন। সেখানে বিধানসভা ও বিধান পরিষদের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন অখিলেশই। শিবপাল যাদব বা আজম খানরা বিধানসভায় জিতে এলেও ওই বৈঠকে যোগ দেননি। নেতা হওয়ার দৌড়ে থাকলেও তাঁদের গুরুত্ব দেননি অখিলেশ। বরং নিজে বিধান পরিষদের সদস্য হয়েও নেতা হয়েছেন। বিধানসভার বিরোধী দলের নেতাও অখিলেশই বাছাই করেছেন। বিধায়কদের কাছে অখিলেশ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, মুলায়ম সিংহ বা শিবপাল নন, ভোটে হারলেও দলের সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই।

আরও পড়ুন: হাতব্যাগে ট্যাগ আর নয় ৭ বিমানবন্দরে

প্রশ্ন হল, পাঁচ দিন আগে তিনি কীসের ভিত্তিতে বলেছিলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সভাপতি নির্বাচন হয়ে যাবে? দলের সূত্রের মতে, আসলে তিন বছর পর দলের এই সম্মেলন হয়। সেখানে প্রতিনিধিরাই স্থির করবেন, সভাপতি কে হবেন। হাতে এখনও ছ’মাস সময়। তত দিনে অখিলেশ দলের উপর নিয়ন্ত্রণ এতটাই বাড়িয়ে নিতে চাইছেন, যে প্রতিনিধিরা সমস্বরে নেতাজি-পুত্রকেই দলের সভাপতি পদে নির্বাচন করেন। ভোটে হারের পরেও অখিলেশ বলেছিলেন, রাহুল গাঁধীর সঙ্গে জোট তিনি জারি রাখবেন। মুলায়ম তাতে সায় না দিলেও। লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীকে ঠেকাতে সব বিরোধী দলের একজোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে সপাকে শক্তিশালী করে নিতে চাইছেন অখিলেশ। রাজ্যের যোগী সরকারকে কাজ করার জন্য আর কিছু দিন সময় দিয়ে বিজেপি-বিরোধিতায় তেড়েফুঁড়ে নামতে চাইছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE