Advertisement
E-Paper

উল্টে গেল রায়, আরুষি হত্যাকাণ্ডে বেকসুর খালাস তলোয়ার দম্পতি

রাজেশ তলোয়ার এবং নূপুর তলোয়ার বেকসুর খালাস পেলেন ইলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে। আরুষি এবং হেমরাজকে তলোয়ার দম্পতিই খুন করেছেন, এমনটা কোনও ভাবেই প্রমাণিত হচ্ছে না বলে হাইকোর্ট জানিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ১৫:১৬
রাজেশ ও নূপুর তলোয়ার। ফাইল চিত্র।

রাজেশ ও নূপুর তলোয়ার। ফাইল চিত্র।

আরুষি তলোয়ার এবং হেমরাজ হত্যা মামলায় আরুষির বাবা-মা রাজেশ তলোয়ার ও নূপুর তলোয়ারকে বেকসুর খালাস করে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। গাজিয়াবাদের আদালত এই মামলায় তলোয়ার দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই ইলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চিকিৎসক দম্পতি। আজ হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, রাজেশ তলোয়ার এবং নূপুর তলোয়ার দোষী নন। তাঁরাই আরুষি এবং হেমরাজকে খুন করেছেন, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে বলে হাইকোর্ট মনে করছে।

আরও পড়ুন: আরুষি হত্যাকাণ্ড: জেনে নিন এক নজরে

২০০৮ সালের ১৬ মে নয়ডার জল বায়ু বিহারে নিজের বাড়িতে খুন হয় কিশোরী আরুষি তলোয়ার। ঘরের ভিতর থেকে তার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় নিখোঁজ ছিলেন তলোয়ারদের পরিচারক হেমরাজ। দু’দিন পরে ওই বাড়িরই ছাদ থেকে থেকে হেমরাজের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, নিজের মেয়ে আরুষিকে খুন করেছেন রাজেশ। হেমরাজকেও তিনিই খুন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। হেমরাজের সঙ্গে আরুষিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেই আক্রোশে রাজেশ তলোয়ার জোড়া খুন করেছেন বলে তদন্তকারীরা দাবি করেন। নূপুর তলোয়ারের বিরুদ্ধেও খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। মামলা চলে সিবিআই আদালতে। ২০১৩ সালে আরুষি হত্যা মামলায় তলোয়ার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে সিবিআই আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করেন রাজেশ ও নূপুর। আজ ইলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, এমন কোনও তথ্য-প্রমাণ সিবিআই জোগাড় করতে পারেনি, যার ভিত্তিতে বলা যায়, রাজেশ-নূপুরই আরুষি-হেমরাজের খুনি।

আরও পড়ুন:স্বল্পবসনা যুবতীর সঙ্গে উদ্দাম নাচ বিধায়কের, ভাইরাল ভিডিও

প্রথমে নয়ডার পুলিশের হাতেই ছিল এই জোড়া খুনের তদন্ত। কিন্তু পুলিশি অপদার্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হওয়ার পর সিবিআই-এর হাতে যায় তদন্তের ভার। সিবিআই-ও রাজেশ এবং নূপুর তলোয়ারকেই অভিযুক্ত করেছিল। কোনও অকাট্য প্রমাণ তাঁদের বিরুদ্ধে জোগাড় করা যায়নি। পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তলোয়ার দম্পতিকে অপরাধী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছিল গোয়েন্দা সংস্থাটি। সিবিআই আদালতে বলেছিল, রাজেশ এবং নূপুর তলোয়ার ছাড়া অন্য কেউ আরুষি-হেমরাজকে খুন করতেই পারেন না। কারণ যে সময়ে খুনের ঘটনা ঘটেছিল, সে সময়ে তলোয়ারদের বাড়িতে বাইরের কেউ ছিলেন না। বাইরে থেকে কেউ জোর করে বাড়িতে ঢুকেছিলেন, এমনও নয়। অতএব খুনি তলোয়ার দম্পতিই। দাবি করেছিল সিবিআই।

গাজিয়াবাদের আদালত সিবিআই-এর সওয়ালেই আস্থা রেখেছিল। দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল তলোয়ার দম্পতিকে। কিন্তু ইলাহাবাদ হাইকোর্ট জানাল, রাজেশ এবং নূপুর খুনি, এমনটা কোনও ভাবেই প্রমাণিত হচ্ছে না। তাই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে বলে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে।

Arushi Talwar Rajesh Talwar Nupur Talwar Hemraj Allahabad High Court Acquittal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy