ভারতীয় সংবিধানের ৩০(১) অনুচ্ছেদে সংখ্যালঘুদের নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই অধিকার নিয়ন্ত্রণমুক্ত, এমন কথা বলা হয়নি। মাদ্রাসায় নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় ইলাহাবাদ হাই কোর্ট এ কথা জানিয়ে নির্দেশ দিয়েছে, ৩০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজ্য সরকারের বিধি এবং কাঠামোর মধ্যে থেকেই শিক্ষার উৎকর্ষ বজায় রাখা এবং শিক্ষার মান বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে।
‘মাদ্রাসা আরাবিয়া শামসুল উলুম সিকারিগঞ্জ এহাতা নবাব’ এবং অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জেলা গোরক্ষপুরের ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সহকারী শিক্ষক এবং এক জন করণিক নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপন রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতর বাতিল করে দেওয়ায় বিতর্ক গড়িয়েছিল হাই কোর্টে। উত্তরপ্রদেশ শিক্ষা দফতরের যুক্তি ছিল, মাদ্রাসা শিক্ষকের পদের জন্য সরকার-নির্ধারিত যোগ্যতামানের শর্তের কথা নেই বিজ্ঞাপনে।
বিচারপতি মঞ্জুরানি চৌহান তাঁর রায়ে যোগী সরকারের পদক্ষেপ অনুমোদন করেছেন। পর্যবেক্ষণে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘মাদ্রাসা শিক্ষকদের যোগ্যতামান নির্ধারণের জন্য সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা আইনের দৃষ্টিতে খারাপ এবং ওই অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে উত্তরপ্রদেশে ২০০৪ সালে চালু হওয়া মাদ্রাসা শিক্ষা আইনকে ‘অসাংবিধানিক এবং ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের পরিপন্থী’ বলল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।