মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নাকি ‘কালো জাদু’ চলত! এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের (পরিচালন কমিটি) বর্তমানে সদস্যেরা। মুম্বইয়ের ওই হাসপাতালে পরিচালন কমিটির পুরনো সদস্যেরা আর্থিক নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ বর্তমান সদস্যদের। হাসপাতালের তহবিল থেকে ১২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। মঙ্গলবার রাতেই এই সংক্রান্ত অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এরই মধ্যে আবার হাসপাতালের মধ্যে ‘কালো জাদু’র অভিযোগও তুলছেন পরিচালন কমিটির বর্তমান সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে পরিচালন কমিটির সদস্যদের অফিসের নীচে চিতাভস্ম রাখার আটটি পাত্র পাওয়া গিয়েছে। সেগুলিতে হাড় এবং মানুষের চুল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পরিচালন কমিটির সদস্যদের।
হাসপাতালের পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বর্তমান সদস্যেরা। এখনও পর্যন্ত তিনটি এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। পরিচালন কমিটির স্থায়ী সদস্য প্রশান্ত মেহতা জানান, প্রাক্তন সদস্য এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর করা হয়েছে। এ ছাড়া ‘কালো জাদু’ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে বান্দ্রা থানায়।
আরও পড়ুন:
মুম্বইয়ের ওই হাসপাতালের আর্থিক নথিপত্রের সম্প্রতি অডিট করা হয়। সেই সময়েই হাসপাতালের তহবিলে নয়ছয়ের ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি পরিচালন কমিটির বর্তমান সদস্যদের। তাঁদের অভিযোগ মূলত হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর মেহতার ভাই বিজয় মেহতা এবং তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। আধিকারিক সূত্রে খবর, ২০০২ সালে কিশোর চিকিৎসার কারণে বিদেশে যান। সেই সময়ে ট্রাস্ট (পরিচালন কমিটি)-এর অস্থায়ী দায়িত্ব পান বিজয়। অভিযোগ, সেই সময়ে বিজয় নথি এবং সই জাল করে কিশোরকে পরিচালন কমিটির স্থায়ী সদস্য থেকে বাদ দেন। শুধু তাই নয়, নিজের সন্তান এবং ভাইপোদের পরিচালন কমিটির সদস্য হিসাবে তিনি যুক্ত করেন বলে অভিযোগ।
অবশ্য আইনি লড়াইয়ের পরে ২০১৬ সালে পুনরায় পরিচালন কমিটিতে নিজের স্থান ফিরে পান কিশোর। গত বছরে কিশোরের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র প্রশান্ত পরিচালন কমিটির স্থায়ী সদস্য হন। তিনি দায়িত্বে আসার পরে হাসপাতালের তহবিলের অডিট করান।