Advertisement
E-Paper

ছাত্রীদের শৌচালয়ে গোপন ক্যামেরা! হায়দরাবাদে কলেজ হস্টেলে হুলস্থুল, আটক পাঁচ কর্মী

হায়দরাবাদের কাছে এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হস্টেলের শৌচালয়ে গোপনে ভিডিয়ো করার অভিযোগ উঠল। ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ জনকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১২টি মোবাইলও।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:২০
হায়দরাবাদে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলের শৌচালয়ে গোপনে ভিডিয়ো করার অভিযোগ।

হায়দরাবাদে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলের শৌচালয়ে গোপনে ভিডিয়ো করার অভিযোগ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

হস্টেলের শৌচালয়ে গোপনে ছাত্রীদের ভি়ডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করার অভিযোগ উঠল হায়দরাবাদের কাছে এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। বুধবার বেশি রাতের দিকে তা নিয়ে ছাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে কলেজ ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ মূলত হস্টেলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে হস্টেল কর্মীদের থেকে ১২টি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনাচক্রে, এই কলেজটির মালিক তেলঙ্গানার বিরোধী দল বিআরএসের বিধায়ক মল্ল রেড্ডির।

পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে হস্টেলের পাঁচ জন কর্মীকেও তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইলগুলিও। তবে হায়দরাবাদের সহকারী পুলিশ কমিশনার শ্রীনিবাস রেড্ডি জানিয়েছেন, ওই হস্টেল কর্মীরা ভিডিয়ো রেকর্ড করেছেন বলে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের ফোনে এখনও পর্যন্ত কোনও আপত্তিকর ভিডিয়ো পাওয়া যায়নি। তবে তাঁরা কোনও ভিডিয়ো মোবাইল থেকে মুছে ফেলেছেন কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ না পাওয়া গেলেও সন্দেহের অবকাশ রয়ে গিয়েছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশ জানতে পারে, কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হস্টেলের শৌচালয়ের পাশেই হস্টেল কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করেন। এক ছাত্রী শৌচালয়ে সন্দেহজনক অবস্থায় একটি ব্যক্তির ছায়া দেখতে পান। তিনি হস্টেলের ওয়ার্ডেনকেও বিষয়টি জানান। কিন্তু ওয়ার্ডেন সেটিকে কোনও গুরুত্বই দেননি। এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ছাত্রীদের হস্টেলে কেন পুরুষ কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তা নিয়েও ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, হস্টেলে রান্নার কাজের জন্য পুরুষ কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। কারণ সেখানে ভারী জিনিসপত্র তোলার প্রয়োজন হয়। তবে খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে মহিলা কর্মীরাই রয়েছেন বলে পুলিশকে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষকেও ছাড়া হবে না বলে অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

Hidden Camera hyderabad Crime Telangana Camera
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy