E-Paper

ইউপিএ সরকারের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ লাভবান হয়েছে এনডিএ সরকারের আমলেই, বৈঠকের আগে দাবি কেন্দ্রের

শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠককে মাথায় রেখে আগে থেকেই প্রতিটি দফতরে কোন খাতে কেন্দ্রের কত অর্থ বকেয়া রয়েছে, তার ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করেছে রাজ্য অর্থ দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫৯
mamata and modi

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

চলতি আর্থিক বছরের (২০২৪-২৫) পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হওয়ার পরেই তাকে ‘গরিব বিরোধী’ বলে সরব হয়েছিল রাজ্য সরকার। আজ, শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে সরব হবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। ঘটনাচক্রে শুক্রবারই তথ্য দিয়ে কেন্দ্র দাবি করল, সব ক্ষেত্রে বিগত ইউপিএ সরকারের তুলনায় রাজ্য লাভবান হয়েছে এনডিএ সরকারের আমলেই।

রাজ্য বরাবর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়ার দাবিতে সরব থেকেছে। বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা কেন আটকে রাখা হচ্ছে, তা নিয়েও ক্ষুব্ধ রাজ্য। এমনকি, নবান্নের বরাবরের অভিযোগ—করের সব টাকা তুলে নিয়ে গেলেও, যথাযথ ভাবে তার ভাগ পায় না রাজ্য। যদিও কেন্দ্রের দাবি, কেন্দ্রীয় করের ভাগ বাবদ (ট্যাক্স ডেভলিউশন) ২০০৪-১৪ সাল (কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে) পর্যন্ত রাজ্য পেয়েছিল ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৪-২৪ (বিজেপি নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে) সাল পর্যন্ত সেই বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৫.২৪ লক্ষ কোটি টাকা। আবার কেন্দ্রের অনুদান বা ‘গ্রান্ট-ইন-এইড’ খাতে ইউপিএ সরকারের আমলে রাজ্য পেয়েছিল প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এনডিএ সরকারের আমলে তা-ই হয়েছে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। কেন্দ্রের দাবি, সড়ক-রেল পরিকাঠামো-সহ সামগ্রিক মূলধনী খাতে রাজ্যকে বিপুল অর্থ দেওয়া হয়েছে। মূল ১০টি ক্ষেত্রের অনেকগুলি প্রকল্পে কেন্দ্রের বরাদ্দ নিরবচ্ছিন্ন থেকেছে। চলতি বাজেটেও পশ্চিমবঙ্গের জন্য করের ভাগ বাবদ ৯৩,৮২৭ কোটি এবং অনুদান খাতে ৩৪,৬৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

রাজ্য প্রশাসনের তরফে এ ব্যাপারে সরকারি ভাবে কেউ কিছু বলতে না চাইলেও এক কর্তার কথায়, “বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি এবং টাকা পাঠানোর মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। প্রকল্পগুলির মধ্যে আবাস যোজনার কথাও বলা হয়েছে। অথচ ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সেই প্রকল্পে বরাদ্দ কেন বন্ধ রয়েছে?”

প্রসঙ্গত, আজ, শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠককে মাথায় রেখে আগে থেকেই প্রতিটি দফতরে কোন খাতে কেন্দ্রের কত অর্থ বকেয়া রয়েছে, তার ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করেছে রাজ্য অর্থ দফতর। বৈঠকে তা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকার কথা। সেই দিক থেকে কেন্দ্রের এ দিনের দাবিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকদের অনেকে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Central Government West Bengal TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy