বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। ছবি: সংগৃহীত।
খোলা বাজারের তুলনায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি দামে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে (বিএমসি) কোভিড রোগীদের জন্য ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছিল, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) সূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই দাবি করেছে একটি সংবাদমাধ্যম। আরও দাবি করা হয়েছে, মুম্বইয়ের মেয়রের সই করা চুক্তি অনুযায়ী, কোভিড রোগীর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার এক-একটি ব্যাগ ৬৮০০ টাকায় কেনা হয় এক জায়গা থেকে। একই কোম্পানিই অন্যদের সেই ব্যাগ বিক্রি করেছে দু’হাজার টাকা দরে।
করোনা মোকাবিলার জন্য খোলা জায়গায় অস্থায়ী চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরিতে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে বিএমসির বিরুদ্ধে। এক বিজেপি নেতার দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইডি বুধবার মহারাষ্ট্রের ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। এ দিন জানা গিয়েছে, ওই অভিযানে ৬৮.৬৫ লক্ষ নগদ টাকা এবং বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে পঞ্চাশটিরও বেশি স্থাবর সম্পত্তির নথি, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় দেড়শো কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত এবং প্রায় আড়াই কোটি টাকার গয়না। উদ্ধার হয়েছে মোবাইল, ল্যাপটপ-সহ বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র। এ দিনও ইডির তদন্তকারী দল হানা দিয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।
বুধবার তল্লাশি হয় নয়ছয়ে অন্যতম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সুজিত পাটকর এবং শিবসেনার (উদ্ধবপন্থী) যুব সংগঠনের সভাপতি সূরজ চহ্বানের বাড়িতে। সুজিতও শিবসেনা (উদ্ধবপন্থী) নেতা সঞ্জয় রাউতের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ইডির দাবি, সূরজের সঙ্গে সুজিত-সহ অন্য অভিযুক্তদের বার্তালাপ সামনে এসেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সুজিতদের সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিতে সূরজের মাধ্যমেই বিএমসির উপরে প্রভাব খাটানো হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছে, যে হিসাব ধরে বিএমসির কাছে রসিদ পাঠানো হয়েছে, কার্যক্ষেত্রে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ছিল তার ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy