ক্ষমতায় এসেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলেন তিনি। গত ৫ এপ্রিল থেকে বিহারে মদকে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল কী?
স্বাধীনতা দিবসের দিনেই বিষমদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার নুনিয়াটোলি গ্রামের অন্তত ৫০ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া নুনিয়াটোলি গ্রামের প্রায় ৫০ জন গত ১৫ অগস্ট দেশি মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে জানাজানি হওয়ার ভয়ে প্রথম দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি তাঁদের। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে মঙ্গলবার সকালে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে গ্রেফতারি এড়াতে তাঁদের বিহারের কোনও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁদের মধ্যে ১৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের অবস্থাও ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। এরপরেই ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ফেরত পাঠানো হয় ১৩টি মৃতদেহ। গ্রামের মানুষের ধারণা, মশলা মেশানো দেশি মদ খেয়েই অসুস্থ হয়েছেন তাঁরা।
তবে পুলিশের দাবি, মদে নয়, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই মারা গিয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। অন্য দিকে, গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জেন এমপি শর্মা জানান, মদে বিষক্রিয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ১৩ জনের। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন গোপালগঞ্জের জেলাশাসক রাহুল কুমার।
চার মাস আগে বিহারে আইন করে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে মদ্যপান। শুধু তাই নয় বিহারের সমস্ত হোটেল, বার, পাবেও মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকী, মদ খেলে বা বিক্রি করলে কড়া শাস্তির বিধানও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরেও কী করে ঘটল এমন ঘটনা?
তা হলে কী সর্ষের মধ্যেই ভূত? চিন্তার ভাঁজ রাজ্য প্রশাসনের কপালে।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে ভাগ্নের বিয়েতে স্কাইপে থাকছেন দাউদ?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy