মিজোরামে নির্বাচনী সফর শুরু করে দিলেন অমিত। —ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস মুক্ত উত্তর-পূর্ব গড়ার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ২৪ মে, অসমে বিজেপির জোট সরকার শপথ নেওয়ার সন্ধ্যায় নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স বা ‘নেডা’ জোট তৈরি করেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মাত্র দু’বছরের মধ্যে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরায় অবিশ্বাস্য উত্থান ঘটিয়ে প্রায় গোটা উত্তর-পূর্বই হাতের মুঠোয় এনে ফেলেছে বিজেপি। বাকি শুধু মিজোরাম। এ বারে মিজোরামেও এত বছরের কংগ্রেস শাসন শেষ করার অঙ্গীকার করে নির্বাচনী সফর শুরু করে দিলেন অমিত।
আজ মহাষ্টমীর সকালে গুয়াহাটির কামাখ্যায় পুজো দিয়ে আইজলে উড়ে যান অমিত। সেখানে প্রথমে পুজোপাঠ করে বিজেপির প্রদেশ সদর দফতর অটল ভবনের উদ্বোধন করেন। পরে মুয়ালপুই এলাকায় ডেংথুমায়াম হলে বুথ পর্যায়ের কর্মীদের সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের এত বছরের অপশাসন ও অনুন্নয়নকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, বিজেপি কোনও হিন্দুত্ববাদী দল নয়। তারা উন্নয়নবাদী।’’ খ্রিস্টানপ্রধান মিজোরামে পুজোপাঠ করায় অতীতে বিপাকে পড়েছিলেন কংগ্রেসের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী লালথানহাওলা। কলকাতায় দুর্গাপুজো উদ্বোধন করে কপালে তিলক কেটে প্রতিমার সামনে দাঁড়ানো লালথানওয়ালার ছবিকে হাতিয়ার করে প্রচার চালিয়েছিল বিরোধীরা। এ হেন রাজ্যে গেরুয়া ও হিন্দুত্বের পরিচয় সরিয়ে একক লড়াইয়ে জয়লাভ বিজেপির পক্ষে কঠিন। তাই তারা নেডার শরিক, স্থানীয় প্রধান বিরোধী দল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট ও মেঘালয়, মণিপুরের শাসকদল এনপিপি-র সঙ্গে হাত মেলাবে। জেডিইউ-ও প্রথম বার মিজোরামে লড়তে নামছে। সে ক্ষেত্রে সমঝোতার রসায়ন কী হবে—তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দলের সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব অবশ্য আগেই ঘোষণা করেছেন, বিজেপি প্রাক্ নির্বাচনী মিত্রতায় আগ্রহী নয়। তারা একাই লড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy