Advertisement
E-Paper

গগৈ, আজমলকে বিঁধলেন অমিত

এআইইউডিএফ ‘জুজু’ দেখালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আজ ধরমপুর, পলাশবাড়ি, নলবাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। সব জায়গায় বলেন, ‘‘বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হলে কংগ্রেস এআইইউডিএফ-কে সঙ্গে নেবে। সরকারে ঢুকবে আজমলের দল।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৯
নির্বাচনী প্রচারসভায় অমিত শাহ, সর্বানন্দ সোনোয়াল। কামরূপের পলাশবাড়িতে। ছবি: উজ্জ্বল দেব।

নির্বাচনী প্রচারসভায় অমিত শাহ, সর্বানন্দ সোনোয়াল। কামরূপের পলাশবাড়িতে। ছবি: উজ্জ্বল দেব।

এআইইউডিএফ ‘জুজু’ দেখালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

আজ ধরমপুর, পলাশবাড়ি, নলবাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। সব জায়গায় বলেন, ‘‘বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হলে কংগ্রেস এআইইউডিএফ-কে সঙ্গে নেবে। সরকারে ঢুকবে আজমলের দল।’’

তরুণ গগৈ ও বদরুদ্দিন আজমল দিনের বেলা পরস্পরকে দোষারোপ করলেও রাতে ভাব জমান বলে মন্তব্য করেন অমিত শাহ। ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় তাঁর দলের অবস্থান কী হবে, তা-ও আজ ভোটারদের কাছে খোলসা করেন তিনি। অমিত জানান, বিজেপি কোনও পরিস্থিতিতেই আজমলের সমর্থন নেবে না। প্রয়োজনে অসমে আরও ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসবেন।

তরুণ গগৈয়ের শারীরিক অবস্থা বা বয়স নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘অসমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে যুবসমাজের কারও নেতৃত্ব প্রয়োজন। সে জন্যই সর্বানন্দ সোনোয়ালকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইছি আমরা।’’

বিহু-কে সামনে রেখে পুরনো জামা-কাপড়ের মতো গগৈ সরকারকে ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘বিহুতে সবাই যেমন নতুন জামাকাপড় পরিধান করেন, তেমনি এ বার নতুন সরকার আনুন।’’ বিজেপির সরকার হলে বিদেশিমুক্ত অসম গঠনের আশ্বাসও দেন বিজেপি শীর্ষ নেতা।

সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীর সঙ্গে অমিত শাহ এ দিন তাঁর বক্তৃতায় মনমোহন সিংহকেও টেনে আনেন। মনমোহন যে অসমের সাংসদ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি জানতে চান— কী করেছেন মনমোহন অসমের জন্য? ১৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ কী করেছেন, সে প্রশ্নও রাখেন তিনি। নিজেই জবাব দেন। বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘এই রাজ্যের যুবকরা দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ঘুরে বেড়ান কাজের জন্য। নেই রাস্তাঘাট, পানীয় জল, ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুতের নিশ্চয়তা। সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকার গড়লে এ সবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।’’ অমিত শাহ আশ্বস্ত করেন, যুবকরা নিজের রাজ্যে চাকরি করবেন। সেজ ন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ মিলবে। হবে পর্যাপ্ত সংখ্যায় হাসপাতাল। তাঁর কথায়, ‘‘অসম হয়ে উঠবে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডের মতো।’’

state assembly election 2016
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy