সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন জামিন পেলেন, সেই দিনই দুর্নীতির বিষয় নিয়ে দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক হলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
এবিপি নিউজ-এর শিখর সম্মেলনে বিজেপি সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলছেন, বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর জন্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে সিবিআই ও ইডির মতো সংস্থাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘‘চিটফাণ্ডের বিষয় বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই চলছে। ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থা তখন থেকেই সক্রিয়। আর নারদ কাণ্ডে তো তৃণমূল নেতাদের টেলিভিশনের পর্দায় ঘুষ নিতে দেখা যাচ্ছে। কয়েকজন নেতা তো ঠিক ভাবে জামাকাপড়ও পড়েননি!’’ বিজেপি সভাপতির মন্তব্য, ‘‘এই অবস্থায় মমতা কী প্রত্যাশা করেন, কোনও ব্যবস্থাই না নেওয়া হোক? তা হলে বলতে হবে, মমতা অনেক বেশি প্রত্যাশা রাখছেন।’’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে ক’দিন আগেই সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেছেন মমতা। সেই দিনও দশ জনপথের সামনে দাঁড়িয়ে মমতা বলেছেন, ‘‘লালুজি, কেজরীবাল, চিদম্বরম, আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চলছে।’’ আজ এবিপি নিউজ-এর সম্মেলনে এসে বিরোধী দলের নেতারা একই অভিযোগ করেছেন। অমিত শাহের জবাব, ‘‘বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। দেশের সামনে জরুরি অবস্থার দৃষ্টান্ত রয়েছে। কারও উপরে জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলে তাকে দমিয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু যদি কেউ অপরাধ করেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।’’ অমিত শাহের মন্তব্য, ‘‘বিজেপি নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে চাইছে। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে অন্য দলের শক্তি কমতে পারে। কিন্তু অন্যদের শক্তি বাড়ানোও আমাদের কাজ নয়।’’ বিজেপি সভাপতির মতে, আর কিছু বলার নেই বিরোধীরা বদলার রাজনীতির অভিযোগ আনছেন।
পশ্চিমবঙ্গে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর কথা বারবার উল্লেখ করেন অমিত শাহ। তাঁর মতে, বাংলা, ত্রিপুরা, কেরল, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে যেখানে বিজেপির শক্তি কম, সেখানে দল ভাল ফল করছে। তাঁর ব্যাখ্যা, কোনও বিরোধী দলকেই লঘু করে দেখে না বিজেপি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মানুষ আস্থা রেখেছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও অ-কংগ্রেসি দলকে দেশের মানুষ পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। ফলে গ্রাম, গলি, বুথে ঘুরে বিজেপি নিজেদের আরও মজবুত করবে। নরেন্দ্র মোদীর বার্তা পৌঁছবে। পরের নির্বাচনগুলিতেও বিজেপি জিতে আসবে।