ছবি: পিটিআই।
নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীর নতুন খসড়া তৈরির জন্য উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সব দল-সংগঠনের সঙ্গে গত কাল ও আজ রাত পর্যন্ত দফায়-দফায় আলোচনা চালালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি ওই বিলের বিরুদ্ধে দিনভর বিক্ষোভ-মিছিল চলল অসমের বিভিন্ন স্থানে। পশ্চিমবঙ্গে তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ধাক্কা খাওয়া এবং উত্তর-পূর্বে বিজেপি ও তার শরিক দলগুলির চাপে এই অধিবেশনেও বিল না-আনার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। বিল আনার ব্যাপারে অবশ্য এখনও অনড় অমিত।
নেডা জোটের চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, বিল ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদে পাশ হবে। কংগ্রেসের মতে, বিল পাশ হচ্ছেই ঘোষণা করে দেওয়ার পরে আলোচনার নাটক অর্থহীন। তাই প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও নেতা অমিতের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেননি। সাংসদ জয়রাম রমেশ আজ গুয়াহাটিতে বলেন, ‘‘ওই সংশোধনী সংবিধানের ১৪ ও ২১ ধারার পরিপন্থী। দেশের আসল সমস্যা থেকে মানুষকে অন্য দিকে ব্যস্ত রাখতেই সংশোধনী এবং এনআরসিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি।
উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যেই এখন বিজেপি বা তার জোট শরিকদের শাসনাধীন। কিন্তু সংশোধনী নিয়ে রাজ্যগুলিতে প্রতিবাদ তুঙ্গে। জোট শরিকরাও বিল মানতে নারাজ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার অ্যাক্ট’-এর অধীনে ইনারলাইন পারমিট চালু রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে। আলোচনার ভিত্তিতে আপাতত সংশোধনীর আওতা থেকে এই তিন রাজ্যকে বাদ রাখা হতে পারে। অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরার ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত এবং জনজাতিদের স্বশাসিত পরিষদের শাসনাধীন এলাকাগুলিও সংশোধনী থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: মুক্তি পাবেন শিবিরে আটক আরও ১৩ জন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy