আশ্বাসই সার!
জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নীরব রইলেন জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে। বিরোধীদের মতে, দেশ জুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন দেখে এনআরসি-প্রসঙ্গ ইচ্ছে করেই এড়িয়েছেন তিনি। এনপিআর-এর মাধ্যমে সন্দেহজনক ভোটারদের তালিকা তৈরি করা হবে না বলে যে দাবি অমিত গত কাল করেছেন, তার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। কারণ এই সংক্রান্ত নাগরিকত্ব আইন (১৯৫৫) বলছে সম্পূর্ণ উল্টো কথা। সেখানে এনপিআরের ভিত্তিতে সন্দেহজনক ভোটারদের চিহ্নিতকরণের কথাই বলা রয়েছে। বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, সেই আইন না-বদলালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বয়ানের কী ভরসা! যেখানে রাজনাথ সিংহ বা কিরেণ রিজিজুর মতো মোদী সরকারের মন্ত্রীরাই একাধিক বার জানিয়েছেন, এনপিআর হল এনআরসি-র প্রথম ধাপ।
ডিসেম্বর রাজ্যসভাতেই অমিত বলেছিলেন, গোটা দেশে এনআরসি করতে সরকার বদ্ধপরিকর। কিন্তু গত চার মাসে সরকার-বিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়েছে। দিল্লি ভোটে হেরেছে বিজেপি। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ অমিতের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। এক কংগ্রেস নেতার কথায় ‘‘দেশব্যাপী বিক্ষোভ দেখে এ যাত্রায় এনআরসি প্রসঙ্গ চেপে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’’ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলছেন, ‘‘এনপিআর করে এনআরসি-র রাস্তা খোলা রাখতে চাইছে সরকার।’’ .