অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র
চন্দ্রবাবু নায়ডু, মেহবুবা মুফতি, উপেন্দ্র কুশওয়াহা এনডিএ ছেড়েছেন। আর এক শরিক অনুপ্রিয়া পটেলও আজ স্মরণ করিয়েছেন, পাঁচ রাজ্যে হারের পর বিজেপির শিক্ষা নেওয়া উচিত। বিজেপির ভিতরেও অসন্তোষের পারদ চড়ছে। উত্তরপ্রদেশের এক সাংসদ আজ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রকল্পেই অযোধ্যায় রামের ‘বাড়ি’ গড়া হোক।
লোকসভা ভোটের আগে এমন এক বেগতিক পরিস্থিতিতে সাংসদদের বাড়ি গিয়ে অসন্তোষ কাটাতে চাইছেন অমিত শাহ। তিন রাজ্যে হারের পর এখনও তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে দায় নেননি। নিতিন গডকড়ীর মতো নেতা প্রকাশ্যে বলছেন, তিনি দলের সভাপতি হলে ভোটে ব্যর্থতার দায় নিতেন। অমিত শাহও স্পষ্ট বুঝছেন, দলের বিক্ষুব্ধ অংশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাইছেন গডকড়ীর মতো নেতারা। সামাল দিতে এখন প্রায় রোজই তিনি বসছেন সাংসদদের সঙ্গে। রাজ্য ধরে ধরে কোনও এক সাংসদের বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন নিজেই।
হিমাচল, পঞ্জাব, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানার পর আজ তিনি ডাকেন বিহারের নেতাদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাধামোহন সিংহের বাড়িতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মনোজ সিন্হার বাড়িতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সাংসদদেরও বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তবে এই বৈঠকের আগেই এক সাংসদ বলেন, ‘‘এত দিন সাংসদদের কথা শোনা হয়নি। বৈঠক ডাকা হলেও আমাদের বলতে দেওয়া হয়নি। নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগের অনেক খামতি থেকে গিয়েছে। এখন তিন রাজ্যে হারের পর লোকসভা ভোটের মুখে আমাদের বলা হচ্ছে খোলাখুলি কথা বলতে!’’
এ যাবৎ হওয়া বৈঠকগুলিতে অমিত বলেছেন কিছু শরিক সরে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সাম্প্রতিক হারের কথা ভুলে গিয়ে ভাবতে হবে লোকসভা নির্বাচনে কী করে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানো যায়। সঙ্ঘ থেকে বিজেপিতে আসা নেতা রাম মাধবও আজ বলেছেন, কিছু শরিক গেলেও নতুন শরিক খুঁজছে বিজেপি। বিশেষ করে দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy