কন্নড়-ভূমে বিজেপি সবথেকে বড় দল হয়েছে বটে। কিন্তু গত লোকসভার অঙ্ক থেকে প্রাপ্ত ভোট শতাংশের বিচারে অনেকটাই পিছিয়ে। পরের লোকসভায় বিরোধীরা ভোটের আগেই হাত ধরলে ভরাডুবি নিশ্চিত।
সরকার গড়ার তোড়জোড়ের মধ্যেও এই অঙ্কই আশঙ্কায় রাখছে বিজেপিকে। কারণ, একজোট বিরোধীদের একার জোরে মাত করা যে কঠিন, বুঝছেন অমিত শাহরা।
২০১৩ সালে কর্নাটক বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ২০ শতাংশ ভোট। ৪০ আসনে থেমে গিয়েছিল তার রথ। পরের বছর নরেন্দ্র মোদীর ঝড়ে ভোট শতাংশ লাফিয়ে হয়ে যায় ৪৩ শতাংশেরও বেশি। বিজেপি আসন পায় ১৭টি। সেই লোকসভা ভোটের নিরিখে বিধানসভা ধরলে বিজেপির ঝুলিতে থাকার কথা ১৩০ টি আসন। সেদিক থেকে এ বার বিজেপির ভাগ্যে জুটেছে ১০৪টি আসন। ২৬টি কম। ভোট শতাংশও কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।
বিজেপিকে রুখতে রাহুল গাঁধী আর দেবগৌড়ার দল এখন হাত মিলিয়েছে। কংগ্রেসের ৭৮টির তুলনায় বিজেপির আসন বেশি। কিন্তু ভোট শতাংশ বিজেপির থেকে বেশি কংগ্রেসের। বিজেপি যেখানে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে, কংগ্রেস ৩৮ শতাংশ। জেডিএস ১৮ শতাংশ ভোট নিয়ে ৩৭টি আসন পেয়েছে।
কাল ভোটের ফল স্পষ্ট হতেই মায়াবতী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। কথা বলেন দেবগৌড়ার সঙ্গে। লোকসভায় মোদীকে রুখতে যে ভোটের আগেই বিরোধীদের জোট বাঁধা দরকার, তার উপরেই জোর দেন সকলে। আর সেটাই বিজেপির উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি জোট বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গড় গোরক্ষপুরেই হারিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। কর্নাটকেও যদি তারা জোট বাঁধে, তা হলে গতকালের ফলের নিরিখে ৬ টির বেশি আসন পাবে না নরেন্দ্র মোদীর দল। রাজ্যে মোট লোকসভা আসন ২৮টি। গত লোকসভায় বিজেপি ঝুলিতে পুরেছিল ১৭টি, কংগ্রেস ৯টি আর জেডিএস ২টি। সেই ‘ঝড়’ এখন নেই। ফলে রাজ্যে রাজ্যে মোদীকে হারাতে বিরোধীরা একজোট হলে যে শিরে সংক্রান্তি, বুঝছেন অমিত শাহ।
সে কারণেই দু’দিন আগে দিল্লিতে সব রাজ্যের নেতাদের ডেকে অমিত লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে চার পাতার রিপোর্ট বানাতে বলেছেন। অমিত বুঝিয়েছেন, একজোট বিরোধীদের হারাতে হলে প্রতি কেন্দ্রে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতেই হবে। কর্নাটকে পুরো জোর লাগিয়েও ৩৭ শতাংশের বেশি ভোট মেলেনি! পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আগামিকাল তাই খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বসছেন দলের নেতাদের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy