একই দিনে বিহারে ভোটপ্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সেখানে আরজেডি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটকে নিশানা করেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘‘আবার বিহারে জঙ্গলরাজ শুরু করবে আরজেডি।’’ অন্য দিকে, প্রিয়ঙ্কার কটাক্ষ, এনডিএ-তে কোনও সম্মান নেই নীতীশ কুমারের। তাঁর দাবি, মুখে ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের কথা বললেও বিহারে শাসন চলছে দিল্লি থেকে!
নির্বাচনের আগে প্রচারে ঝড় তুলেছে দুই জোটই। প্রায় শেষ পর্যায়ের প্রচারে গিয়ে শাহের দাবি, ‘‘বিহারে লড়াই দু’পক্ষের মধ্যে। এক দিকে রয়েছে, যারা বিহারে জঙ্গলরাজ শুরু করেছিল। অন্য দিকে আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নীতীশ কুমারের জুটি, যারা বিহারে উন্নয়ন এনেছে।’’ শাহের দাবি, বিহারে অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস।
‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ নিয়ে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘‘আপনি যত খুশি যাত্রা বার করুন। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করা যাবে না। খুঁজে খুঁজে তাঁদের দেশ থেকে তাড়ানো হবে। ভোটার তালিকার এসআইআর (বিশেষ নিবিড় সংশোধন) সেই জন্যই করা। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’’
আরও পড়ুন:
শাহ যেখান থেকে কংগ্রেস এবং আরজেডি-কে নিশানা করেন, তাঁর ১০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে সভা করেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর দাবি, বিহারের কোনও ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকার নেই। সরকার চলে দিল্লি থেকে। তাই প্রচারে এনডিএ নেতাদের মুখে নীতীশ বা বিহারের জনগণের কথা নেই। বিহারে এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে, তা-ও বলতে পারছে না তারা। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, এক কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিহারের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। প্রশ্ন তোলেন, কেন তারা এত দিন রাজ্যে চাকরির সুযোগ তৈরি করেনি?