ফাইল ছবি।
উচ্চকক্ষে ডেপুটি চেয়ারম্যান ভোটে এনডিএ-র বাইরের দলকেও সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাস্ত করেছে মোদীর দল। ঠিক সেই সময় সীতারাম ইয়েচুরি, সুধাকর রেড্ডিদের সঙ্গে রাহুল তুলোধোনা করলেন মোদীকে। আর তা শুনে রাজ্যসভার ভোট শেষ হতেই তেড়েফুঁড়ে উঠলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হৃদয়ে দলিতদের কোনও স্থানই নেই। তাই নিজের বইয়ে লেখেন, দলিতরা নাকি ধার্মিক আনন্দ পেতে সাফাই-কাজ করেন। মোদী আর বিজেপি-আরএসএস চায়, শিক্ষা-উন্নয়নে দলিতদের কোনও জায়গা থাকবে না। তাই দলিত আইন লঘু হয়েছে। সেই বিচারপতিকে পুরস্কৃতও করা হয়েছে। তাই বিজেপি-শাসিত রাজ্যে দলিত নিগ্রহ হচ্ছে। ২০১৯ সালে মোদী আর বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে গোটা দেশ একজোট হয়ে রুখে দাঁড়াবে। দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের পাশে রয়েছে কংগ্রেস।
দলিত আর ওবিসি বিল পাশ নিয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রে ঝাঁপাতে মোদী সদ্য দু’দিন আগে দলের সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন। বোঝাতে হবে, বিজেপিই একমাত্র দলিত দরদী। রামবিলাস পাসোয়ানও ১২ অগস্ট থেকে মোদীর জয়গান করে কংগ্রেসের দলিত-উপেক্ষার প্রচার শুরু করছেন। আজও মোদী মন্ত্রিসভা ওবিসিদের পোস্ট-ম্যাট্রিক বৃত্তি-র মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়েছে।
ভোটের আগে দলিত-কাঁটা দূর করতে যখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন মোদী-শাহ, সেই সময় রাহুলের নতুন আক্রমণ কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিজেপির। অমিত শাহ তাই রাহুলের সভার পরেই বলেন, ‘‘রাহুলজি, আপনার চোখ টেপা আর সংসদ অস্থির করার পর সময় থাকলে বাস্তবটা খতিয়ে দেখুন। সংসদে কঠোর বিল পাশ করা হয়েছে। আপনি বরং অম্বেডকর, জগজীবন রাম, সীতারাম কেসরীর প্রতি কংগ্রেসের মনোভাব নিয়ে বলুন।’’ এর পরেই অমিত শাহ সরাসরি গাঁধী পরিবারকে নিশানা করে বলেন, সনিয়া গাঁধী কংগ্রেস সভানেত্রী হওয়ার বছরে পদোন্নতিতে সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছিল তৃতীয় মোর্চার সরকার। আর রাহুল সভাপতি হওয়ার পর কড়া দলিত আইন ও ওবিসি কমিশনের বিরোধিতা করেন। কংগ্রেসের ঐতিহ্যই হল, দলিতদের অপমান করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy